তিতাস নদীতে ঐতিহ্যবাহি নৌকাবাইচ
ভাদ্রের তপ্ত বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীর বুকে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে, হাজারো দর্শকের করতালি মুখরিত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ।
রোববার বিকেলে শহরের শিমরাইলকান্দি শ্মশান ঘাট এলাকা থেকে শুরু হয়ে মেড্ডা এলাকার কালাগাজীর মাজার পর্যন্ত অংশে এ বাইচ হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের এই আয়োজনে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয় শহরজুড়ে। দুপুর গড়ানোর আগেই জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছোট বড় নৌকা নিয়ে উৎসাহী দর্শকেরা নদীর দুই পাড়ে হাজির হতে থাকেন।
প্রতিযোগিতার সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, জেলার বিজয়নগর, সরাইল, আশুগঞ্জ, নাসিরনগর ও নবীনগর উপজেলা থেকে ১৩টি নৌকা মোট চার পর্বে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
বিকেল পৌনে চারটার দিকে শহরের শিমরাইলকান্দি শ্মশাট ঘাট থেকে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সাংসদ রআ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার মো. আনিছুর রহমান, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. তৌফিকুর রহমান তপু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির প্রমুখ।
প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া জেলার সরাইল উপজেলার ক্ষমতাপুর গ্রামের নৌকাকে একটি ফ্রিজ ও ২০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় হওয়া নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখির নৌকাকে একটি ৪০ ইঞ্চি টেলিভিশন ও ২০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারি নবীনগর উপজেলার নৌকাকে একটি ৩২ ইঞ্চি টেলিভিশন ও ২০ হাজার টাকা পুরস্কৃত করা হয়েছে। এছাড়া বাইচে অংশগ্রহণকারি সকল নৌকাকে শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে একটি মাইক্রোওভেন ও নগদ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
Comments