নারায়ণগঞ্জবাসীকে ময়লা আবর্জনা থেকে মুক্ত রাখতে যাচ্ছি: আইভী
প্লাস্টিক ও পলিথিন থেকে ডিজেল ও পেট্রোল উৎপাদন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় পঞ্চবটি জৈব সার উৎপাদন কেন্দ্রে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। এর মাধ্যমে প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জ শহরের ৫০০ কেজি পলিথিন পুড়িয়ে ডিজেল ও পেট্রোল উৎপাদন করা হবে।
এ ডিজেল দিয়ে চলবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন গাড়ি। সেই সাথে পলিথিন পুড়িয়ে আরও দুইটি জ্বালানি উৎপাদন করা যাবে, সেগুলো হলো অকটেন ও গ্যাস এবং যে ছাই হবে সেটা দিয়ে কালি তৈরি করা যাবে। পাশাপাশি নগরীর আবর্জনা থেকে উৎপাদন করা হচ্ছে জৈব সার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র আইভী বলেন, ছোটবেলায় শুনতাম ছাই থেকে নাকি স্বর্ণ পাওয়া যেত। এখন দেখি সত্যি সত্যি ছাই দিয়েও টাকা ইনকাম করা যায়। আমরা ময়লা আবর্জনা নিয়ে অনেক ঝামেলার মধ্যে ছিলাম। পলিথিন ফেলে বিভিন্ন ড্রেনগুলো বন্ধ করে দেওয়া হতো।
কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্য বলছি, আপনারা আপনাদের ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষকে সচেতন করবেন। তারা যেন যত্রতত্র ময়লা না ফেলে। নতুনভাবে এই প্রকল্পের শুরু করলাম, আপাতত ৫০০ কেজি পলিথিন পুড়িয়ে এই জ্বালানী উৎপাদন করা হবে। দেশের মধ্যে প্রখম বড় পরিসরে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এখান থেকে যে ডিজেল উৎপাদন করা হবে সেই ডিজেল সিটি করপোরেশন কিনে নিয়ে যাবে। আগে শহরের পলিথিন পরিষ্কার করা হবে। তারপর অন্য জায়গায় পলিথিন ক্রয় করবে। আমরা চেষ্টা করছি নারায়ণগঞ্জবাসীকে ভালো রাখার জন্য। পরিবেশ সুন্দর রাখার জন্য কাউন্সিলররা কাজ করবেন। আমরা নিজেরা ভাল থাকব এবং অন্যদেরকেও ভাল রাখব। নারায়ণগঞ্জবাসীকে ময়লা আবর্জনা থেকে মুক্ত রাখতে যাচ্ছি। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফ এম এহতেশামুল হক বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। আপাতত স্বল্প পরিসরে এই প্রকল্পের শুরু করা হয়েছে। ধীরে ধীরে এটি ব্যাপক আকার ধারণ করবে। বর্তমানে দিগুবাবুর বাজারে যে আবর্জনা হচ্ছে, সেটা দিয়ে জৈব সার উৎপাদন করা হবে। সেই সঙ্গে পলিথিন পুড়িয়ে জ্বালানি তৈরি করা হচ্ছে এবং সেখানে শহরের পলিথিনকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র আফসানা আফরো বিভা, মেঘা অর্গানিক বাংলাদেশের সত্ত্বাধিকারী মিজানুর রহমান, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, সিটি করপোরেশনের প্রকৌশলী, নগর পরিকল্পনাবিদ, মেডিকেল অফিসার, পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
Comments