গভীর সমুদ্রের গ্যাস রপ্তানির সুযোগ রেখে নতুন পিএসসি
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/bhola_gas_field.png?itok=Jri8HOPS×tamp=1567493480)
বঙ্গোপসাগরে গ্যাস উত্তোলনের পর তা রপ্তানি করতে পারবে বিদেশি সংস্থাগুলো। এই সুযোগ আগে একবার দিয়ে সমালোচনার মুখে তা ফিরিয়ে নিয়েছিলো সরকার। কিন্তু, গ্যাস রপ্তানির সুযোগ না পাওয়ায় প্রত্যাশা অনুযায়ী বিদেশি সংস্থাগুলো দরপত্রে অংশ নেয়নি বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
বঙ্গোপসাগরে ২৬টি ব্লক রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে ২২টি নিয়ে এখনো কোনো চুক্তি হয়নি। নতুন অফশোর মডেল পিএসসি (প্রোডাকশন শেয়ারিং মডেল) ২০১৯ অনুযায়ী বিদেশি সংস্থাগুলো গ্যাস উত্তোলন করে তা রপ্তানি করার সুযোগ পাবে। সম্প্রতি, নতুন মডেলটিকে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা কমিটির অর্থনৈতিক বিভাগ।
২০০৮ সালের অফশোর মডেলে গ্যাস রপ্তানির সুযোগ দেওয়া হয়েছিলো। তবে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ২০১২ সালে তা বাতিল করা হয়। এই সুযোগটি বাতিলের ফলে বিদেশি সংস্থাগুলো দরপত্রে অংশ নেওয়া থেকে দূরে থাকে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্যাস রপ্তানির সুযোগ এবং পর্যাপ্ত আর্থিক সুবিধা না থাকায় প্রত্যাশা অনুযায়ী বিদেশি সংস্থাগুলো দরপত্রে অংশ নেয়নি।
নতুন মডেল অনুযায়ী রপ্তানির আগে সংস্থাগুলো পেট্রোবাংলাকে গ্যাস কেনার প্রস্তাব দিবে। পেট্রোবাংলা গ্যাস না কিনলে তখন তা রপ্তানি করা হবে।
এবার সরকার দুটি পিএসসি মডেল তৈরি করেছে। একটি অনশোর মডেল পিএসসি ২০১৯ এবং অন্যটি অফশোর মডেল পিএসসি ২০১৯। অনশোর মডেলে গ্যাস রপ্তানির কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। এছাড়াও, অফশোর মডেলে সংস্থাগুলোর জন্যে যেসব আর্থিক সুবিধা রাখা হয়েছে সেগুলো অনশোর মডেলে নেই।
বুয়েটের পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদ কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ম তামিম বলেন, “অবশ্যই নতুন মডেলটির মাধ্যমে অনেক সংস্থাকে আকৃষ্ট করা যাবে যা তুলনামূলকভাবে যৌক্তিক। নতুন পিএসসি-তে দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর স্বার্থ দেখা হয়েছে।”
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি সদস্য সচিব এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ মনে করেন, সরকারের এই নতুন উদ্যোগ যৌক্তিক নয়। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ একদিকে এলএনজি (লিকুইড ন্যাচারাল গ্যাস) আমদানি করছে অন্যদিকে নিজেদের গ্যাস রপ্তানির সুযোগ রাখছে। সরকার দীর্ঘদিন থেকে গ্যাস রপ্তানির চেষ্টা চালাচ্ছে কিন্তু, সামাজিক আন্দোলন ও প্রতিরোধের মুখে সরকারের সেই প্রচেষ্টা ধীরগতিতে চলছিলো।”
(সংক্ষেপিত, পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে এই IOCs can now export gas লিংকে ক্লিক করুন)
Comments