দেশের ক্রিকেট থেকে গুমোট ভাব সরানোর মিশন
হুট করেই দেশের ক্রিকেটে দুর্দিন। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েও হয়েছে বেহাল দশা। কেবল জাতীয় দলই নয়, এই সময়ে ‘এ’ দল, ‘এইচপি’ দলের কাছ থেকেও মিলছে না স্বস্তির সুবাতাস। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি তাই অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের কাছে দেশের ক্রিকেট থেকে গুমোট ভাব সরানোর মিশন।
আফগানদের বিপক্ষে আট ওয়ানডে খেলে পাঁচটিতে জিতেছে বাংলাদেশ, হেরেছে তিন ম্যাচ। দুদলের টি-টোয়েন্টি রেকর্ডে আবার বেশ এগিয়ে আফগানিস্তান। চার ম্যাচের তিনটাই জিতেছেন রশিদ খানরা। বাংলাদেশের জয় একটাই। কিন্তু সংস্করণ যখন টেস্ট, অভিজ্ঞতায় সেখানে অনেক অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিপক্ষে নামার আগে আফগানিস্তানের টেস্ট অভিজ্ঞতা মাত্র দুই ম্যাচের। ১৯ বছর ধরে টেস্ট খেলে আসা বাংলাদেশ খেলে ফেলেছে ১১৪ ম্যাচ।
স্বাভাবিকভাবেই এমন দলের বিপক্ষে ম্যাচে পরের সিরিজের প্রস্তুতির কথাও মাথায় রাখা যায়-ই। আগামী নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নামার আগে এই ম্যাচকে তাই প্রস্তুতির মঞ্চ ভাবারও সুযোগ ছিল সাকিবদের। কিন্তু দেশের ক্রিকেটের মুখগোমড়া সময়ে অমন করে ভাবার ফুরসৎ পাচ্ছেন না অধিনায়ক। এই ম্যাচ থেকে আপাতত স্বস্তি বের করাই বাংলাদেশ দলের মূল লক্ষ্য, ‘আমি যেখান থেকে দেখছি, যেহেতু আমাদের শেষ কিছু দিন ভালো সময় কাটেনি। সবদিক থেকে, সেটা “এ” দল বলেন, একাডেমি বলেন, কোথাও আমরা ভালো পারফর্ম করতে পারিনি। কেবল অনূর্ধ্ব-১৯ দল ফাইনাল খেলেছে ইংল্যান্ডে। সেদিক থেকে চিন্তা করলে আমাদের জন্য এই ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপুর্ণ। কারণ আমরা যদি এই ম্যাচ ভালোভাবে জিততে পারি, আমার কাছে মনে হয়, অনেক কিছুই আবার একটু স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।’
‘ভালোভাবে জিততে পারি’, তার মানে দাঁড়াল- বাংলাদেশ কেবল জিততেই চায় না, বড় ব্যবধানে জিততে চায়। কিন্তু তেমনটি আসলে নয়। অধিনায়ক নিজেকে শুধরে জানালেন, ভালোভাবে জেতা মানে আসলে যে কোনোভাবে জেতাই, ‘জয়টাই গুরুত্বপূর্ণ। ১ রানে জিতলেও সেটা জেতা, ১০০ রানে জিতলেও জেতা। ১ উইকেট বা ১০ উইকেট যেভাবেই জিতি। জেতাটাই আসল।’
Comments