চট্টগ্রামের গ্যালারির এই হাল!
যে কোনো ভেন্যুতে খেলা পড়লেই তার কদিন আগে থেকে পড়ে যেন বিয়ে বাড়ির ধুম। দিনের পর দিন অবহেলা, অযত্নে পড়ে থাকা ভবন ঘষে-মেজে যতটুকু ঝলমলে করা যায় আর কি! কিন্তু চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের গ্যালারি ঘষে-মেজে ভদ্রস্থ করারও দশা নেই।
গত ৯ মাস থেকে এই মাঠে কোনো খেলা নেই। এই সময়ে গ্যালারি, প্রেসবক্স কোথাও কোনো যত্ন-আত্তিরও দরকার মনে করেনি বিসিবি। অযত্নে বিভিন্ন ভবনের গ্লাসে লেগে থাকা ধুলো না হয় মুছে ঝকঝকে করা গেল। কিন্তু গ্যালারিতে দর্শকদের বসার চেয়ারের যে বেহাল দশা, তা কোনোভাবেই যেন ঠিকঠাক করতে পারছেন না নিয়োজিত কর্মীরা।
২০১১ বিশ্বকাপ সামনে রেখে বসানো গ্যালারির দর্শক আসনের বেহাল দশা। দীর্ঘ ৮ বছরেও আর হয়নি সংস্কার, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণও কেবল খেলা এলেই সীমাবদ্ধ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের আগের দিন বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) তাই হাঁ করে বেরিয়ে গেল গ্যালারির দৈন্যদশা। ছেঁড়া-তালি দেওয়া জামা-কাপড় যেভাবে লুকোতে কসরত করেন হতদরিদ্র মানুষ, জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের গ্যালারির যেন সেই একই দশা। কিন্তু বিসিবি তো হতদরিদ্র নয়! ফি বছর কোটি কোটি টাকার আয়ের মধ্যে বড়ই বেমানান অবস্থায় পড়ে আছে ভাঙাচোরা সব চেয়ার।
পূর্ব পাশের গ্যালারির একটা অংশের সবগুলো চেয়ারই ভেঙে গেছে। ভাঙা প্লাস্টিকের চেয়ারের অংশবিশেষ পড়ে থাকায় তা তুলতে দেখা গেল মাঠ-কর্মীদের। দর্শকরা যাতে অন্তত বসতে পারেন সেই ব্যবস্থা করছিলেন তারা।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট শেষ হলে দিন দশেকের মধ্যে এখানে হবে জিম্বাবুয়েকে সঙ্গে নিয়ে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টিরও তিনটি ম্যাচও।
Comments