সমুদ্র সম্পদ ব্যবহার করে দারিদ্র্য বিমোচন করতে পারি: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইওরা সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সমুদ্রের তলদেশের অনাবিষ্কৃত সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে এই অঞ্চলে একটি অভিন্ন টেকসই সুনীল অর্থনৈতিক বেষ্টনী গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইওরা সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সমুদ্রের তলদেশের অনাবিষ্কৃত সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে এই অঞ্চলে একটি অভিন্ন টেকসই সুনীল অর্থনৈতিক বেষ্টনী গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সুনীল অর্থনীতিকে সামনে রেখে সমুদ্রে অব্যবহৃত ও এর তলদেশে অ-উন্মোচিত সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে এই অঞ্চলে যার যার টেকসই উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করার সুযোগ রয়েছে।”

“সমুদ্র সম্পদ ব্যবহার করে আমরা দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তাসহ বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারি,” যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তৃতীয় আইওরা সুনীল অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের (ব্লু ইকোনমি মিনিস্টেরিয়াল কনফারেন্স) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে একথা বলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ভারত মহাসাগর রিম অ্যাসোসিয়েশন (আইওরা) দুদিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একীভূত টেকসই সুনীল অর্থনীতির সর্বোচ্চ সুফল পেতে অংশীজনদের মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের কোন বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, “আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাই এ সম্মেলনেই যেনো আমরা সম্মিলিতভাবে সমুদ্র সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-১৪ অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে পারি।”

“শান্তি, নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়নের মধ্যে একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে,” উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “খেয়াল রাখতে হবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে গিয়ে যেনো সমুদ্রের সুস্থ পরিবেশ বিঘ্নিত না হয়।”

“তাই আমাদের সুনীল অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি সুনীল চিন্তাও করতে হবে এবং সে লক্ষ্যে সমন্বিত, লাভজনক ও সর্বোপরি সমুদ্র সংরক্ষণমূলক নীতি নির্ধারণ ও সে অনুযায়ী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে,” বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আর তবেই ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ৯ বিলিয়ন মানুষের জীবন ধারণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এই সুনীল অর্থনীতিই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে।”

সরকার প্রধান বলেন, আইওরা মেরিটাইম সুরক্ষা ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সহায়তা, মৎস্য ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহায়তা, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সর্বোপরি সুনীল অর্থনীতির সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে। তথাপি, নানাবিধ সীমাবদ্ধতার কারণে অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় আমরা কিছু ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছি।

তিনি বলেন, “আপনারা ইতোমধ্যেই আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি, সমুদ্র শাসন, সম্পদ উন্মোচন ও আহরণের টেকসই পদ্ধতি, নৌপরিবহন, পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপনসহ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেছেন।”

প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, আইওরা সদস্যদের মধ্যে যে কর্মতৎপরতা ও উদ্যম সৃষ্টি হয়েছে তা নিকট ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে।

২০১৭ সালে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় অনুষ্ঠিত আইওরা লিডার্স সামিটে অংশগ্রহণের প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, “সেখানে আমরা আইওরার নেতৃত্বে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সুনীল অর্থনীতির উন্নয়নে কাজ করার এবং সমুদ্রযান চলাচলের স্বাধীনতায় সম্মান দেখানোর অঙ্গীকার করেছিলাম।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আগামী ১ অক্টোবর দুবছরের জন্য আইওরার সহ-সভাপতি এবং ১ অক্টোবর ২০২১ পরবর্তী দুবছরের জন্য সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করবে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago