হার্ট অ্যাটাকে মারা গেলেন বিশ্বকাপজয়ী কাফুর ছেলে
সপ্তাহখানেক আগে না ফেরার দেশে চলে গেছেন স্পেনের সাবেক কোচ লুইস এনরিকের ৯ বছর বয়সী কন্যা জানা এনরিকে। তাতে শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ে গোটা ফুটবল দুনিয়া। সেই হৃদয়বিদারক ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পাওয়া গেছে আরেকটি দুঃসংবাদ। হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক কাফুর ছেলে দানিলো ফেলিসিয়ানো দে মোরায়েস।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যমের বরাতে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য সান জানিয়েছে, আগের দিন সাও পাওলোতে কাফুর পৈতৃক বাড়িতে বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলছিলেন তার ছেলে দানিলো। তবে মাত্র দশ মিনিট খেলার পরই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সেসময় দানিলো জানান, বেশ অস্বস্তি বোধ করছেন। তখনই তার হার্ট অ্যাটাক হয়। ফলে তড়িঘড়ি করে তাকে নেওয়া হয় শহরের আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে। কিন্তু ডাক্তারদের সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো যায়নি।
ফলে মাত্র ৩০ বছর বয়সেই পৃথিবীর মায়া ছাড়তে হয়েছে দানিলোকে। তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবচেয়ে বড় দানিলোর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কিংবদন্তি ডিফেন্ডার কাফুর সাবেক সতীর্থ ও বন্ধু পাওলো সার্জিও।
কাফু তার প্রাণপ্রিয় সন্তানকে হারানোয় শোকের মাতম চলছে ব্রাজিলের ফুটবল অঙ্গনে। এক বিবৃতিতে তার সাবেক ক্লাব সাও পাওলো জানিয়েছে, ‘কাফুর ছেলে দানিলোর মৃত্যুতে সাও পাওলো ফুটবল ক্লাব গভীরভাবে শোকাহত।’
ব্রাজিলের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি ১৪২টি ম্যাচ খেলা কাফু একসময় মাঠ মাতিয়েছেন স্বদেশী ক্লাব পালমেইরাসের হয়েও। তারাও শোকে বিহ্বল, ‘পালমেইরাস স্পোর্টস সোসাইটি কাফুর ছেলে দানিলোর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছে এবং বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে।’
সেলেসাওদের হয়ে চারটি বিশ্বকাপে খেলেছেন ৪৯ বছর বয়সী কাফু। ব্রাজিলের তো বটেই, তাকে ইতিহাসের অন্যতম সেরা রাইট-ব্যাক মানা হয়। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে টানা তিনটি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছেন তিনি (১৯৯৪, ১৯৯৮ ও ২০০২)। এর মধ্যে দুবার জিতেছেন শিরোপা (১৯৯৪ ও ২০০২)। পরেরবার তার নেতৃত্বেই জার্মানিকে হারিয়ে রেকর্ড পঞ্চমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল।
Comments