আজমেরীর দুই সহযোগীকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিতে চায় পুলিশ
চাঁদা চেয়ে না পাওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর ও বন্দর) আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য একেএম নাসিম ওসমানের একমাত্র ছেলে আজমেরী ওসমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ওই ঘটনায় আজমেরীর দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তারের পর সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আজ (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের আমলাপাড়া এলাকার মৃত হাজী আহসান উল্লাহর ছেলে মো. বাচ্চু মিয়া নামের ওই ব্যবসায়ী বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার প্রধান আসামি আজমেরী ওসমান হলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বর্তমান এমপি সেলিম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের ভাতিজা।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রেপ্তারকৃত ফতুল্লা ইসদাইর এলাকার মো. ফকির চাঁনের ছেলে জেলা ছাত্রসমাজের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন (৩২), সোনারগাঁও উপজেলার নাজিরপুর এলাকার গোলজার হোসেনের ছেলে মোখলেছুর রহমান (৩৫) এবং পলাতক জুয়েল (৩০)।
বাচ্চু মিয়া মামলায় উল্লেখ করেন, “গতকাল রাত আটটায় ‘০১৭৩৯০৮৯৪৯২’ নম্বর থেকে আমার মোবাইল নম্বরে ফোন করে বলে, চাচা আমাকে চিনতে পারছেন। আমি আজমেরী ওসমান বলছি। আমার একটা লোক আপনার কাছে যাবে। তাকে আপনি ৬৫ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে আদর্শ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার থেকে মিষ্টি খাইয়ে দিবেন।”
“কিছুক্ষণ পর মোখলেছ নামে একজন লোক আমার সঙ্গে কালি মন্দিরের সামনে দেখা করে। আমি তাকে মিষ্টি খাওয়ানোর জন্য কালি মন্দিরের পাশে আদর্শ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে ডাকলে সে মিষ্টি খাবে না বলে, পরবর্তীতে গ্রামীণ হোটেলে নিয়ে হালিম খাওয়ানোর জন্য বললেও হালিম খাবে না বলে দোকান থেকে বের হয়ে যায়। আমি দোকান থেকে বের হলে মোখলেছ আমাকে বলে যে, আপনাকে হাজী সাহেব ডেকেছে। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে মোকলেছসহ আরও অজ্ঞাত ৭ থেকে ৮ জন আমার কোমরের বেল্ট ধরে টানতে টানতে কালির বাজার মাংস পট্টি আফসু মহাজনের হোটেলের সামনে নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে মাথা, কপালসহ শরীরে বিভিন্ন জায়গায় জখম করে,” বলেও উল্লেখ করেন বাচ্চু মিয়া।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “দাবিকৃত ৬৫ হাজার টাকা না পেয়ে আজমেরী ওসমানের নির্দেশে সকল আসামিরা আমাকে নারায়ণগঞ্জে বসবাস করতে দিবে না বলেও ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।”
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, “গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামিকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আজমেরী ওসমান ও জুয়েলকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
আরও পড়ুন:
Comments