ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি: কাদের

qader
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

কেন্দ্রীয় দুই শীর্ষ নেতার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা নানান অভিযোগে ক্ষুব্ধ হয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দিতে বলেছেন সংগঠনের সাংগঠনিক নেতা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- গণমাধ্যমে ফলাও করে এ সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আকারে কিছু হয়নি।

আজ (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “রংপুরের উপনির্বাচন, অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য ২২টি ইউনিয়ন পরিষদ, তিনটি পৌরসভা, সাতটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে আলোচনার জন্য আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের নিয়ে গতকাল বসেছিলাম।”

সেখানে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে কাদের বলেন, “কথা প্রসঙ্গে হয়তো কথা আসে। এ নিয়ে সিদ্ধান্ত আকারে কোনো কথা হয়নি। কোনো বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে সেই সিদ্ধান্তের ফোরাম ওটা ছিলো না। ওখানে ইনসাইডে আমরা অনেক কথাই বলতে পারি, অনেক আলোচনাই করতে পারি।”

“এখানে কোনো কোনো প্রসঙ্গে ক্ষোভের প্রকাশও হতে পারে। কারো কারো রিঅ্যাকশনও আসতে পারে। কিন্তু দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমার এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা এ মুহূর্তে ঠিক হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না এটা ইমপ্লিমেন্টেশন প্রসেসে যায়। এখানে ক্ষোভের প্রকাশ ঘটতে পারে, প্রতিক্রিয়া হতে পারে কিন্তু এটা কোনো সিদ্ধান্ত আকারে কিছু হয়নি”, বলেন তিনি।

ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ কী-না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, “ছাত্রলীগেরও বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্ত কিছু কিছু ব্যাপার আছে, সেগুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কনসার্ন থাকতেই পারেন, এটা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু এখানে কোনো স্পেসিফিক সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমি জানি না, কারণ ওই ফোরামে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনার বিষয় আসেনি।”

আরও পড়ুন:

আলোচনায় ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়ার সংবাদ

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Terrorism Act

Govt issues ordinance amending Anti-Terrorism Act

Activities of certain entities, and activities supporting them can now be banned

2h ago