বড় হারের শঙ্কা নিয়ে দিন পার

সকালের বৃষ্টিতে খেলা শুরু হতে দেরি হওয়ায় একদল সমর্থক বেশ খুশি। দুপুরে খেলা শুরুর পর লাঞ্চে যখন ফের বৃষ্টি নামল, এসব সমর্থকদের আশাও বাড়ছিল। ১১৫ টেস্ট খেলা দল তিন টেস্টে খেলা দলের কাছ থেকে বৃষ্টির আশীর্বাদে বাঁচতে চাইছে, অনেকে অবশ্য বললেন এটাই তো বাংলাদেশের জন্য বড় হার। বাকি যা হবে তার সবই আনুষ্ঠানিকতা। চট্টগ্রাম টেস্টের আফগানিস্তানের জয় নিয়ে যা সংশয়, তা ঐ বৃষ্টিকে ঘিরেই। বৃষ্টি বিঘ্নিত দিনে যা খেলা হলো তাতে বাংলাদেশের হয়েও যা খেলার খেলছে কেবল বৃষ্টিই।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সকালের বৃষ্টিতে খেলা শুরু হতে দেরি হওয়ায় একদল সমর্থক বেশ খুশি। দুপুরে খেলা শুরুর পর লাঞ্চে যখন ফের বৃষ্টি নামল, এসব সমর্থকদের আশাও বাড়ছিল। ১১৫ টেস্ট খেলা দল তিন টেস্টে খেলা দলের কাছ থেকে বৃষ্টির আশীর্বাদে বাঁচতে চাইছে, অনেকে অবশ্য বললেন এটাই তো বাংলাদেশের জন্য বড় হার।  বাকি যা হবে তার সবই আনুষ্ঠানিকতা। চট্টগ্রাম টেস্টের আফগানিস্তানের জয় নিয়ে যা সংশয়, তা ঐ বৃষ্টিকে ঘিরেই। বৃষ্টি বিঘ্নিত দিনে যা খেলা হলো তাতে বাংলাদেশের হয়েও যা খেলার খেলছে কেবল বৃষ্টিই।

সকালে দুই ঘণ্টা বৃষ্টিতে নষ্ট হওয়ার পরও বিস্ময়করভাবে ইনিংস ঘোষণা না করে ব্যাট চালিয়ে যেতে থাকে আফগানিস্তান। অবশ্য বেশিক্ষণ তা চলেনি। বাংলাদেশকে ৩৯৮ রানের লক্ষ্য দিয়ে নিজেরা গুটিয়ে যায়। এরপর ৪৪.২ ওভার ব্যাট করেই চরম বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি বাংলাদেশ। বৃষ্টি নামায় আগেভাগে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হলে বাংলাদেশ করে ৬ উইকেটে ১৩৬ রান। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ৩৯ আর সৌম্য সরকার ০ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন।

বাস্তবতা বলছে পঞ্চম দিন কেবল হারের আনুষ্ঠানিকতা সারতেই মাঠে আসতে হবে সাকিবদের।  

৩৯৮ রান করতে হবে, অথবা টিকতে হবে প্রায় দু’দিন। দুটোই প্রায় অসম্ভব কাজ। ডান-বাম কম্বিনেশন রাখতে সাদমান ইসলামের সঙ্গে ওপেন করতে দেওয়া হয়েছিল লিটন দাসকে। ঘণ্টা খানেক জুটি চালানোর পর চায়নাম্যান জহির খানে কাবু হয়ে ফেরেন লিটন।

ডানহাতি লিটন ফিরলে তিনে বিস্ময়করভাবে নামানো হয় মোসাদ্দেক হোসেনকে। ম্যাচ পরিস্থিতির একেবারে বিপরীতে গিয়ে তিনি উইকেট বিলিয়েছেন দৃষ্টিকটুভাবে। তার জায়গায় নামেন আরেক ডানহাতি মুশফিকুর রহিম। বোঝা যাচ্ছিল ডান-বাম কম্বিনেশন রেখেই এগুতে চায় দল। তবে তাতে কি লাভ করা যাবে বোঝা যায়নি, ছিল না পরিকল্পনার ছাপ। এলোমেলো ব্যাটিং অর্ডার যেন ম্যাচের সব তালগোল পাকানো সিদ্ধান্তের  প্রতীক হয়েই থাকল।

মুশফিক ওয়ানডে মেজাজে ২৫ বলে ২৩ করে থামান লড়াই। চার থেকে পাঁচে নেমে যাওয়া মুমিনুল টিকেছেন ৮ বল। ৩ রান করা মুমিনুলকে এলবিডব্লিও করে উল্লাস করেন রশিদ খান।

যা একটু নিবেদন দেখাচ্ছিলেন নিবেদন সাদমান। চা-বিরতির পর নেমে ১১৪ বলে ৪১ রান করে থামেন তিনিও। তার উইকেটটি কেবল নিয়েছেন অফ স্পিনার  মোহাম্মদ নবি। বাকি পাঁচ উইকেটই গেছে রিষ্ট স্পিন জুজুতে। ৪৬ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন রশিদ। ৩৬ রানে ৩ উইকেট চায়নাম্যান জহিরের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

আফগানিস্তান প্রথম ইনিংস
: ৩৪২

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ২০৫

আফগানিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস: ২৬০ 

বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ৪৪.২ ওভারে (লিটন ৯, সাদমান ৪১, মোসাদ্দেক ১২, মুশফিকুর ২৩, মুমিনুল ৩, সাকিব ব্যাটিং ৩৯*  , মাহমুদউল্লাহ ৭, সৌম্য ব্যাটিং ০* ; ইয়ামিন ০/১৪, নবি ১/৩৮, রশিদ ৩/৪৬, জহির ২/৩৬ )

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago