লাইভ আপডেট: হেরেই গেল বাংলাদেশ

দিনের শুরু থেকেই বৃষ্টি। মাঝে খেলা হয়েছে ১৩টি বল। মূল কাজটা সেরে দিয়েছিল বৃষ্টিই। বাকিটা করতে হতো বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। হার এড়াতে হলে শেষ ১৮.৩ ওভার খেলতে হতো। কিন্তু সে পথে হাঁটেনি টাইগাররা। উইকেটে নেমেই ব্যাটসম্যানদের মধ্যে রান করার তাড়া করার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। নেমেই প্রথম ডেলিভারিতে অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল কাট করতে গিয়েই বিপদ ডেকে আনেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এরপর শেষ তিন উইকেট তুলে নিতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি আফগানদের।
ছবি: দ্য ডেইলি স্টার

দিনের শুরু থেকেই বৃষ্টি। মাঝে খেলা হয়েছে ১৩টি বল। মূল কাজটা সেরে দিয়েছিল বৃষ্টিই। বাকিটা করতে হতো বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। হার এড়াতে হলে শেষ ১৮.৩ ওভার খেলতে হতো। কিন্তু সে পথে হাঁটেনি টাইগাররা। উইকেটে নেমেই ব্যাটসম্যানদের মধ্যে রান করার তাড়া করার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। নেমেই প্রথম ডেলিভারিতে অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল কাট করতে গিয়েই বিপদ ডেকে আনেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এরপর শেষ তিন উইকেট তুলে নিতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি আফগানদের।

তবে এক প্রান্তে চেষ্টা করেছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু তার প্রতিরোধ যথেষ্ট ছিল না। আম্পায়ায়ের ভুলে তাইজুল বিদায়। আর মিরাজ আউট হয়েছেন তড়িঘড়ি করে। ফলে ২২৪ রানের বিশাল হারই দেখতে হলো সাকিবের দলকে।

অন্যদিকে আফগানিস্তানের জয়ের মূল নায়ক রশিদ খান। দ্বিতীয় ইনিংসেও পেয়েছেন ৬ উইকেট। প্রথম ইনিংসেও পেয়েছিলেন ৫ উইকেট। দারুণ বোলিং করেছেন তরুণ জহির খান। ভালো সমর্থন দিয়েছেন শেষ টেস্ট খেলতে নামা মোহাম্মদ নবি। 

হেরেই গেল বাংলাদেশ

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম টেস্টের পঞ্চম দিনের খেলা বাকি ছিল আর ৪ ওভার। রশিদ খানের বলটি রক্ষণাত্মক ঢঙেই খেলতে চেয়েছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় শর্ট লেগে দাঁড়ানো ইব্রাহিম জাদরানের হাতে। বল ধরেই ছুট মাঠে। সঙ্গে দৌড়ান রশিদ খান ও তার সতীর্থরাও। কারণ এর মধ্যেই যে দল পেয়েছে ঐতিহাসিক জয়। ৫৯ বল মোকাবেলা করে ১৫ রান করেছিলেন সৌম্য।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আফগানিস্তান প্রথম ইনিংস: ৩৪২

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ২০৫

আফগানিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস: ২৬০

বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩৯৮) (আগের দিন ১৩৬/৬) ৬১.৪ ওভারে ১৭৩ (লিটন ৯, সাদমান ৪১, মোসাদ্দেক ১২, মুশফিক ২৩, মুমিনুল ৩, সাকিব ৪৪, মাহমুদউল্লাহ ৭, সৌম্য ১৫, মিরাজ ১২, তাইজুল ০, নাঈম ২*; আহমেদজাই ০/১৪, নবি ১/৩৯, রশিদ ৬/৪৯, জহির ৩/৫৯, কাইস ০/৬)।

ফলাফল: আফগানিস্তান ২২৪ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রশিদ খান।

সিরিজ: আফগানিস্তান ১-০ ব্যবধানে জয়ী।

টিকলেন না তাইজুলও

ব্যাটে লেগেছিল বল। কিন্তু আগেই রিভিউ নষ্ট করে গেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাই বাধ্য হয়েই মাঠ ছাড়তে হলো তাইজুল ইসলামকে। রশিদ খানের বলটি ব্যাটে লেগে প্যাডে লাগার পরও আউট দিলেন আম্পায়ার। ফলে বড় হারই দেখছে টাইগাররা।

এখনও ৭ ওভার বাকী রয়েছে দিনের। এ সাত ওভার না টিকলে জয় পাবে আফগানিস্তান। ৫৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১৬৬ রান। সৌম্য সরকার ১৩ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন নাঈম হাসান।  

মিরাজের বিদায়ে হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ

শেষ বিকেলের বাকী কয়টি ওভার টিকে গেলে জুটবে ড্রয়ের সান্ত্বনা। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা সে পথে হাঁটছেন না। উইকেটে নেমেই রানের জন্য তড়িঘড়ি করছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মাঝে জীবনও পেয়েছেন। রশিদ খানের বলটি স্পিন হবে ভেবেই ব্যাট পেতেছিলেন মিরাজ। কিন্তু গুগলি বুঝতে না পেরে লাইন করেন। পড়েন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। রিভিউ নিয়েছিলেন। লাভ হয়নি। ২৮ বলে ১টি চারের সাহায্যে ১২ রান করেছেন মিরাজ।

৫৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৫৬ রান। ১৩ রানে ব্যাট করছেন সৌম্য সরকার। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন তাইজুল ইসলাম।

জীবন পেলেন মিরাজ

বিপদ প্রায় ডেকে এনেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। জহির খানের টসড আপ ডেলিভারি কিছুটা বাঁক খেয়ে ভেতরের দিকে আসছিল। ফ্লিক করতে গিয়েছিলেন মিরাজ। ব্যাটের কানায় লেগে চলে গিয়েছিল শর্ট লেগে দাঁড়ানো ফিল্ডার হাসমতউল্লাহ শাহিদির কাছে। তবে ধরতে পারেনিনি তিনি। তাই এ যাত্রা বেঁচে গেলেন মিরাজ। এ সময়ে ৬ রানে ব্যাট করছিলেন তিনি।

৫৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৫৯ রান। সৌম্য ১২ ও মিরাজ ৬ রানে ব্যাট করছেন।  

প্রথম বলেই আউট সাকিব

জয় তো অসম্ভব। ড্রয়ের সান্ত্বনা জুটাতে হলে বাকী ওভার গুলো কাটিয়ে দিতে হবে নির্বিঘ্নে। তবে কি করলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান? বৃষ্টির পর ফের মাঠে নেমে জহির খানের করা অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল ছেড়ে না দিয়ে কাট করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনলেন। উইকেটের পেছনে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন উইকেটরক্ষক আফসার জাজাই। ৫৪ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৪৪ রান করেছেন সাকিব।

৪৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৪৩ রান। সৌম্য সরকার ২ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। জিততে হলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৫৫ রান।

খেলা শুরু

হালকা ঝিরিঝিরি বৃষ্টি চলছে। তবে এ বৃষ্টিকে আমলে নিচ্ছেন না আম্পায়াররা। ফলে ফের শুরু হয়েছে খেলা। আফগানরা মাঠে নেমেছেন অনেক আগেই। এবার মাঠে নামলেন বাংলাদেশের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকার। মাঠে আলোক স্বল্পতার কারণে জ্বলানো হয়েছে ফ্ল্যাড লাইট।  

৪টা ২০ মিনিটে শুরু হবে খেলা

বৃষ্টি থেমেছে। আকাশের ঘন কালো মেঘও কমে এসেছে। মাঠ পরিচর্যার কাজ অনেকটাই এগিয়ে নিয়েছেন মাঠকর্মীরা। এ মুহূর্তে মাঠ খেলার জন্যও প্রায় প্রস্তুত। আফগানরাও আশার আলো দেখতে পারছে। কারণ মাঠ পরিদর্শন শেষে ৪টা ২০ মিনিটে ফের খেলা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আম্পায়াররা। হিসেব অনুযায়ী সাড়ে ৫টা অনুযায়ী খেলা হওয়ার কথা। এ সময়ে ন্যুনতম ১৮.৩ ওভার খেলা হবে।

তবে এখনই মাঠে নেমে পড়েছে আফগানরা। খেলার জন্য মরিয়া হয়ে হয়ে উঠেছে দলটি। কারণ আর মাত্র ৪টি উইকেট নিতে পারলেই দ্বিতীয় টেস্ট জয়ের মুখ দেখবে দলটি। সেই সঙ্গে র‍্যাংকিংয়ে উপরে থাকা দলের বিপক্ষে প্রথম। বাংলাদেশের জন্য জয় বেশ কঠিন। কারণ এখন ২৫৫ রান পিছিয়ে তারা। শেষ ১৮.৩ ওভার কাটিয়ে দিতে পারলে জুটবে ড্র করার সান্ত্বনা।

থেমেছে বৃষ্টি, খেলা শুরুর সম্ভাবনা

অবশেষে থেমেছে বৃষ্টি। অবশ্য এর তেজ কমেছিল আধা ঘণ্টা আগেই। মাঠের নানা জায়গায় জমে আছে পানি। পরিচর্যার জন্য মাঠে ঢুকেছেন মাঠকর্মীরা। সুপার সপার দিয়ে কভারের উপরের পানি শুকানোর কাজ চলছে। এখন চলছে পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী চা বিরতির সময়। আশার বানী নতুন করে বৃষ্টি না হলে শুরু হতে পারে খেলা।

১৩ বল পর ফের বৃষ্টি, খেলা বন্ধ

বৃষ্টি থামার পর বেলা ১টায় মাঠে নেমেছিল দুই দল। বলও মাঠে গড়িয়েছে ১৩টি। সময়ের হিসেবে মাত্র ৭ মিনিট। এ সময়ে টাইগারদের স্কোরবোর্ডেও যোগ হয়েছে ৭ রান। কিন্তু এরপর আবার নামে বৃষ্টি। তাও নেমেছে মুষলধারেই। ফলে বন্ধ রয়েছে খেলা। উইকেটে ঢেকে ফেলা হয়েছে কভার দিয়ে।

বৃষ্টির আগে ৪৬.৩ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৪৩ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান ৪৪ ও সৌম্য সরকার ২ রানে ব্যাট করছেন। জিততে হলে এখনও বাংলাদেশের প্রয়োজন ২৫৫ রান। আর আফগানিস্তানের চাই শেষ চার উইকেট।  

খেলা শুরু

বৃষ্টি শেষে মাঠে নেমেছে দুই দুল। বেলা ১টায় শুরু হয়েছে পঞ্চম দিনের খেলা। বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট করতে নেমেছেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকার। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৩৬ রান। জিততে হলে দরকার ২৬২ রান। আফগানদের চাই শেষ চার উইকেট।

বেলা ১টায় শুরু হবে পঞ্চম দিনের খেলা

বৃষ্টি তো থেমেছে আগেই। মাঠও প্রায় প্রস্তুত। এখন চলছে লাঞ্চের সময়। তবে বল মাঠে গড়াতে কিছুটা সময় লাগছে। ফের বৃষ্টি না হলে বেলা ১টায় এদিনের খেলা শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন আম্পায়াররা। এরমধ্যেই মাঠের দুই প্রান্তে অনুশীলন করে গা গরম করে নিচ্ছেন দুই দলের খেলোয়াড়রা।

দ্বিতীয় সেশনের খেলা চলবে বেলা ৩টা ১০ মিনিট পর্যন্ত। এরপর ২০ মিনিট চা বিরতি পর শেষ সেশনের খেলা শুরু হবে সাড়ে তিনটায়। চলবে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। শেষ দুই সেশনে খেলা হওয়ার কথা ন্যুনতম ৬৩ ওভার।

থেমেছে বৃষ্টি, খেলা শুরুর অপেক্ষা

কয়েক দফা বৃষ্টির পর আবার থেমেছে বৃষ্টি। বৃষ্টি চলাকালীন সময়েও থেমে ছিল না মাঠ কর্মীদের কার্যক্রম। সুপার সপার দিয়ে কভারের উপরের পানি সরানো হয়েছিল। তাই বৃষ্টি থামার অল্প সময়ের মধ্যেই সরানো গিয়েছে কভার। তাই খুব দ্রুতই বল মাঠে গড়ানোর তুমুল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ দলও মাঠে এসে পৌঁছেছে আধা ঘণ্টা আগেই। আর সকাল থেকেই মাঠে উপস্থিত ছিল আফগানরা। 

ফের বৃষ্টি নেমেছে চট্টগ্রামে

সকাল থেকেই টানা বর্ষণের পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে থেমেছিল বৃষ্টি। আম্পায়ার মাঠে গিয়ে লাঞ্চের সময়ও ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু এর মধ্যেই আবার নেমেছে বৃষ্টি। ফলে খেলা শুরু নিয়ে তৈরি হয়েছে আবার অনিশ্চয়তা। তবে বৃষ্টির মধ্যেও থেমে নেই মাঠ পরিচর্যার কাজ। মাঠকর্মীরা পানি সরানোর চেষ্টা করছেন।

ভেসে গেছে প্রথম সেশন

প্রথম সেশনের খেলা হচ্ছে এটা এক প্রকার অনুমিতই ছিল। সকাল থেকে বৃষ্টির যে বেগ ছিল তাতে আরও আগে বৃষ্টি থামলেও মাঠ শুকাতে বেশ সময় লেগে যেত। শেষ পর্যন্ত লাঞ্চের সময় ঘোষণা দিয়েছেন আম্পায়াররা। বেলা ১২টা থেকে ১২টা ৪০ পর্যন্ত লাঞ্চের সময়। এর পর ফের মাঠ পরিদর্শন করে খেলা শুরু সময় নির্ধারণ করবেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে মাঠ শুকানোর জন্য মাঠকর্মীরা মাঠে নেমেছেন। সুপার সপার দিয়ে সরানো হচ্ছে উইকেটের উপরের পানি।

থেমেছে বৃষ্টি, খেলা শুরুর সম্ভাবনা

টানা বর্ষণের পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অবশেষে থেমেছে বৃষ্টি। আকাশও কিছুটা উজ্জ্বল হয়েছে। এর মিনিট তিনেক পর কিউরেটরের সঙ্গে কথা বলতে ছাতি ছাড়াই মাঠে নেমেছেন স্থানীয় আম্পায়ার। তাই খেলা শুরুর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদিও কভার সরানো হয়নি এখনও। খুব শীগগিরই আম্পায়াররা মাঠ পরিদর্শনে নামবেন। এদিকে আফগানিস্তান দল মাঠে পৌঁছালেও এখনও হোটেল ছাড়েনি বাংলাদেশ দল। বেলা ১২টার দিকে টাইগাররা মাঠে পৌঁছাবে বলে জানা গেছে।

 

বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরুর সম্ভাবনা নেই

সকাল থেকেই তুমুল বৃষ্টি। বৃষ্টি হয়েছে গত রাতেও। তবে এ মুহূর্তে কিছুটা কমেছে বৃষ্টির বেগ। তবে ঝরছে বিরতিহীনভাবেই। তাই স্বাভাবিকভাবেই ঢেকে রাকা হয়েছে উইকেট। বাংলাদেশ দলও অবস্থান করছে হোটেলে। যদিও আফগানিস্তান মাঠে এসে পৌঁছেছে। এ মুহূর্তে বৃষ্টি থামলেও মাঠ পরিচর্যা করে নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এমনকি প্রথম সেশন মাঠে গড়ানো নিয়েও রয়েছে শঙ্কা।

এদিকে আগের দিন নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টা আগে খেলা শেষ হওয়ায় পঞ্চম দিনের খেলা আধা ঘণ্টা আগে শুরু হওয়ার কথা ছিল। অর্থাৎ এদিনের খেলা শুরুর সময় ছিল সকাল সাড়ে ৯টা। তবে বৃষ্টি আশীর্বাদ হয়েই এসেছে বাংলাদেশের জন্য। কারণ জিততে হলে এখনও তাদের করতে হবে ২৬২ রান। হাতে রয়েছে মাত্র ৪টি উইকেট। অন্যদিকে আফগানদের দুর্ভাগ্যই বলা চলে।

বৃষ্টির আশায় সাকিব

হাতে আছে মাত্র ৪ উইকেট। করতে হবে আরও ২৬২ রান। এই অবস্থায় আশার বেলুন উড়ানোর পথে গেলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সব সম্ভবের কথা বললেও স্পষ্ট করেই জানালেন তারা আছে বৃষ্টির প্রত্যাশায়। শেষ দিন যদি পুরোটা ভাসিয়ে নেয় বৃষ্টি, তবে যদি হার এড়ানো যায়!

৩৯ রানে নিয়ে ক্রিজে আছেন অধিনায়ক সাকিব নিজে, ০ রানে তার সঙ্গী সৌম্য সরকার। এই অবস্থায় বাস্তবতা নিরিখে আসলে কি ভাবছে বাংলাদেশ? অধিনায়ক হাঁটলেন না কূটনৈতিক পথে, শোনালেন না অবাস্তব কোন আশা, ‘বাস্তবতা বিচারে তো আমরা এই ম্যাচ হারের খুব কাছাকাছি। একমাত্র বৃষ্টি আছে আর আল্লাহ যদি স্বয়ং আমাদের দুইজন প্লেয়ারের ওপর না পড়েন (হাসি), তাহলে হারার সম্ভাবনাটাই খুব বেশি।’

পথ রয়েছে আরও কিছু। তবে তা অসম্ভবই। খাতায় কলমে সম্ভাবনা যেহেতু আছে সাকিব হিসেব করেই জানালেন কাজটা কতটা কঠিন,  ‘রান কত দরকার? ২৭০(আসলে ২৬২)।  দুইজনের একশো একশো করতে হবে। একশো একশোও না। একজনের ১২০ আরেকজনের ১৫০ করা লাগবে। (হাসি)। দুনিয়াতে কিছুই অসম্ভব নয়। দেখা যাক না কি হয়। আরেকটা আছে বৃষ্টি উপরে, ওটাও আমাদের বাঁচাতে পারে। বেশ কয়েকটা পথ আছে। এখন বাকিটা দেখা যাক।’

হারের পথে বাংলাদেশ

৩৯৮ রানের বিশাল লক্ষ্য। এতো বড় লক্ষ্য তাড়া করে কখনোই জিততে পারেনি বাংলাদেশ। টেস্টে লক্ষ্য তাড়া করে সর্বোচ্চ জয়টি ২১৫ রানের, উইন্ডিজের বিপক্ষে। তাই নতুন ইতিহাসই গড়তে হতো টাইগারদের। কাজটা কঠিন হলেও অসম্ভব কিছু নয়। কারণ ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন রান কিংবা তার বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে আরও চারটি।

সাদমান ইসলাম ও তিন নম্বর থেকে ওপেনিংয়ে নামা লিটন দাস দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটাও খারাপ করেননি। লাঞ্চ বিরতির আগে ৩০ রান করে মাঠ ছাড়েন। কিন্তু ফিরেই এসেই তালগোল পাকিয়ে ফেলেন তারা। শুরু হয় উইকেট হারানোর মিছিল। রশিদ খানের স্পিন তো দূরের কথা তরুণ জহির খানের বলও বুঝতে পারছিলেন না ব্যাটসম্যানরা। আর শুধু যে আফগানরা উইকেট তুলে নিয়েছেন তাও নয়, ব্যাটসম্যানরাও নেমেছেন আত্মাহুতির পথে। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল মারতে গিয়ে আকাশে তুলেছেন মোসাদ্দেক।

বৃষ্টিস্নাত চতুর্থ দিনে খেলা শুরু হতে দেরি হয় প্রায় দুই ঘণ্টার মতো। তাই পিছিয়ে নেওয়া হয় লাঞ্চের সময়। লাঞ্চের আগে ব্যাট করতে নেমে শেষ দুই উইকেট হারিয়ে দ্রুত ২৩ রান যোগ করে স্কোরবোর্ডে। সঙ্গীর অভাবে হাফসেঞ্চুরি মিস করেন আফসার জাজাই। এক প্রান্তে ব্যক্তিগত ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন। তবে ততক্ষণে তাদের লিড দাঁড়ায় ৩৯৭ রানে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: (চতুর্থ দিন শেষে)

আফগানিস্তান প্রথম ইনিংস: ৩৪২

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ২০৫

আফগানিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস: (আগের দিন ২৩৭/৮) ৯০.১ ওভারে ২৬০ (ইহসানউল্লাহ ৪, ইব্রাহিম ৮৭, রহমত ০, হাশমতউল্লাহ ১২, আসগর ৫০, আফসার ৪৮*, নবি ৮, রশিদ ২৪, কাইস ১৪, আহমেদজাই ৯, জহির ; সাকিব ৩/৫৮, মিরাজ ২/৩৫, তাইজুল ২/৮৬, নাইম ২/৬১, মুমিনুল ০/১৩, মোসাদ্দেক ০/৩)।

বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ৪৪.২ ওভারে ১৩৬/৬ (লিটন ৯, সাদমান ৪১, মোসাদ্দেক ১২, মুশফিক ২৩, মুমিনুল ৩, সাকিব ৩৯*, মাহমুদউল্লাহ ৭, সৌম্য ০*; আহমেদজাই ০/১৪, নবি ১/৩৮, রশিদ ৩/৪৬, জহির ২/৩৬)।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago