হাতকড়া খুলে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে গেলো আসামি

বগুড়ায় পুলিশের হেফাজতে থাকা মাদক মামলায় আসামি হাতকড়া খুলে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে গেছে।
arrest logo
প্রতীকী ছবি। স্টার অনলাইন গ্রাফিকস

বগুড়ায় পুলিশের হেফাজতে থাকা মাদক মামলায় আসামি হাতকড়া খুলে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে গেছে।

আসামির নাম মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে সাগর (২৮)। তিনি সাইফুল শেরপুর উপজেলার বনমরিচা গ্রামের বাসিন্দা ও মৃত শাজাহাহান ওরফে বাঘার ছেলে।

গতকাল (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিয়ে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

পুলিশ ও মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর সাইফুল ইসলামকে হেরোইন বিক্রি করার সময় শেরপুর টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরি এলাকা থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে আটক করে পুলিশ। সে রাতেই শেরপুর থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়।

সেই মামলায় গতকাল সাইফুলকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেসময় তার সঙ্গে বেশ কয়েকজন আসামি ছিলেন।

গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অন্য আসামিদের পুলিশের প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় সবার হাতেই হাতকড়া পড়ানো ছিলো। কিন্তু, সাইফুল কৌশলে হাতকড়া খুলে পুলিশকে ধাক্কা ও ঘুষি দিয়ে পালিয়ে যান। পুলিশ তাকে আর ধরতে পারেনি।

এ ঘটনায় গতকাল সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার বাদি ও বগুড়া সদর কোর্টের
এএসআই (জিআরও কাহালু ও শেরপুর থানা) মো. এমদাদুল হক মামলায় উল্লেখ করেন, আসামি সাইফুল পুলিশকে কর্তব্যপালনে বাধা দেন, আক্রমণ করেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করেছেন। একই সঙ্গে তিনি ধাক্কা দিয়ে পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে গিয়ে ১৮৬০ সালের পেনাল কোড আইনে ১৮৬/১৮৭/২২৪/৩৩২/৩৫৩ ধারায় অপরাধ করেছেন।

হাতকড়া থাকা অবস্থায় কীভাবে আসামি পালিয়ে গেলো তা জানতে চাইলে আদালত পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাইফুল মাদকাসক্ত। তার স্বাস্থ্য খারাপ। সে অনেক চিকন। তার হাতও চিকন। সে চুড়ির মতো হাতকড়া খুলে ফেলে পুলিশকে আঘাত করে পালিয়ে যায়।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম বদিউজ্জামান বলেন, সাইফুলকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago