আসামকে বিদেশি-মুক্ত করাই বিজেপির লক্ষ্য: অমিত শাহ

আসামে নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর রাজ্যটিতে এসে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা দিলেন- আসামকে বিদেশি-মুক্ত করাই বিজেপির লক্ষ্য।
Amit Shah
উত্তর-পূর্ব পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে আসামের গুয়াহাটি শহরে আসেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছবি: সংগৃহীত

আসামে নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর রাজ্যটিতে এসে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা দিলেন- আসামকে বিদেশি-মুক্ত করাই বিজেপির লক্ষ্য।

আজ (৯ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, গতকাল আসামের গুয়াহাটি শহরে এসে ভারতের উত্তর-পূর্ব পরিষদের বৈঠকে দেওয়া বক্তব্যে ক্ষমতাসীন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “ভারতে একজন বিদেশিকেও থাকতে দেওয়া হবে না।”

নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর থেকেই এ নিয়ে প্রতিদিনই বিতর্ক হচ্ছে। একেক পক্ষের বক্তব্যে উঠে আসছে একক ধরনের অভিমত। কারো দাবি- লাখ লাখ বিদেশির নাম রয়েছে নাগরিকপঞ্জিতে। আবার কারো অভিযোগ- তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে লাখ লাখ প্রকৃত ভারতীয়ের নাম।

এমন পরিস্থিতিতে আসাম রাজ্য সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি না দিলেও অমিত শাহ বলেছেন, আসামকে বিদেশি-মুক্ত করা হবে।

নাগরিকপঞ্জি প্রকাশের পর কেন্দ্রীয় সরকার বারবার বলেছিলো বাদ পড়া ১৯ লাখের কাউকে আটক করা হবে না। তাদের সব নাগরিক সুবিধা অক্ষুণ্ণ থাকবে, ট্রাইব্যুনালের রায় না হওয়া পর্যন্ত। কিন্তু, তার পরপরই দেখা যায়, আসামের গোয়ালপাড়ার কাছে ১০টি বড় আকারের ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির কাজ চলছে। আর অমিত শাহ এখন এসে বললেন, সব বিদেশিদের তাড়ানো হবে। এর প্রেক্ষিতে নাগরিকপঞ্জিতে নাম না থাকা ১৯ লাখ মানুষের আতঙ্ক-অনিশ্চয়তা আরো বাড়লো।

আরো পড়ুন:

মুম্বাইতেও ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ শনাক্তে ডিটেনশন সেন্টার!

আমরা মনে করি না, তারা বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ’-‘বাংলাদেশি’ ইস্যু!

আসামের নাগরিকপঞ্জি ইস্যু, উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিও

আসাম পরিস্থিতি: শঙ্কার কারণ আছে বাংলাদেশের

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago