অনুশোচনায় ভুগছেন সাকিব

মাত্র ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট টিকতে হবে। সৌম্য সরকারকে নিয়ে ক্রিজে যাওয়া অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের দায়িত্বই ছিল বেশি। কিন্তু অধিনায়ক একদম প্রথম বলেই তার ইনিংস থামান ভীষণ দৃষ্টিকটু এক শটে। বৃষ্টির এতটা সহায়তা পেয়েও টেস্ট ড্র করতে না পারায় দিনশেষে আক্ষেপে পুড়ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আর এই না পারায় সবচেয়ে বড় দায়টা চাপিয়েছেন নিজের ওপরই।
Shakib Al Hasan
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

মাত্র ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট টিকতে হবে। সৌম্য সরকারকে নিয়ে ক্রিজে যাওয়া অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের দায়িত্বই ছিল বেশি। কিন্তু অধিনায়ক একদম প্রথম বলেই তার ইনিংস থামান ভীষণ দৃষ্টিকটু এক শটে। বৃষ্টির এতটা সহায়তা পেয়েও টেস্ট ড্র করতে না পারায় দিনশেষে আক্ষেপে পুড়ছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আর এই না পারায় সবচেয়ে বড় দায়টা চাপিয়েছেন নিজের ওপরই।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বৃষ্টিতে সকালের সেশন ভেসে যাওয়ার পর দুপুরে মাত্র ১৩ বল পরই ফের বৃষ্টি। তুমুল বৃষ্টিতে দিনের বেশিরভাগ সময়ই হারিয়ে গিয়েছিল। শেষ বিকেলে বাংলাদেশের দরকার ছিল ১৮.৩ ওভার টিকে থাকা। হাতে ৪ উইকেট আছে, অধিনায়ক নিজে আছেন ক্রিজে। রশিদ খানদের স্পিন ঘূর্ণি থাকলেও ড্র নাগালের মধ্যেই ছিল বাংলাদেশের।

কিন্তু উইকেটে গিয়ে চায়নাম্যান জহির খানের বলে যে শট সাকিব খেললেন তাতেই বড় সর্বনাশটা হয়ে যায় বাংলাদেশের। অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে পিচ করা বল বেরিয়েই যাচ্ছিল। অনায়াসে তা ছেড়ে দিতে পারতেন সাকিব। তিনি খেলতে গেলেন কাট শট। ব্যাট ছুঁয়ে তা জমা পড়ল উইকেটরক্ষক আফসার জাজাইর গ্লাভসে। সাকিবের উইকেট খোয়ানোর পর বাংলাদেশও ম্যাচটা খুইয়েছে।

সাকিব এই আউটে নিজের সম্পূর্ণ দায় মেনে নিলেন, ‘মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর। খুবই হতাশাজনক ব্যাপার। যেহেতু চার উইকেট ছিল, ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট খেলতে হতো। আমি আমারটা বলতে পারি। বাকিদেরটা বলাটা কঠিন, দায়িত্ব আমার ওপরই পড়ে। প্রথম বলে কাট শটটা না মারলেই হয়তো হতো। না মারলে হতো কি, না মারার মতোই ছিল। আমি শটটা খেলে ফেলছি এবং ওটাতে দল অনেক চাপে পড়ে গেছে।’

‘যেহেতু আমি উইকেটে ছিলাম। আমারই মূল দায়িত্ব ছিল ভূমিকাটা নেওয়ার। সেটা করতে পারলে ড্রেসিং রুম অনেক স্বস্তি বোধ করত। হয়তো ম্যাচটা ড্র করতে পারতাম।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago