সামর্থ্য নিয়েই সংশয় সাকিবের

Shakib Al Hasan
সাকিব আল হাসান। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

মাত্র ৭০ মিনিট। সম্ভাব্য ১৮.৩ ওভার টিকতে হবে ৪ উইকেট নিয়ে। তীব্র নিবেদন, গভীর মনযোগ, খেলায় সম্পৃক্ত থাকার মতো কাণ্ডজ্ঞান থাকলেই তা করে ফেলা সম্ভব। কারণ রিস্ট স্পিনাররা তেতে থাকলেও উইকেট না খেলার মতো ছিল না। তবু গড়বড় করে ডুবেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এই না পারার পর নিজেদের সামর্থ্য নিয়েই সংশয়ে পড়েছেন।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ৩.২ ওভার বাকি থাকতে ১৭৩ রানে গুটিয়ে গিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টে ২২৪ রানে আফগানিস্তানের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ।

শেষ বিকালে সহজ সমীকরণ মেটাতে গিয়ে প্রথম বলেই বাজে শটে ফেরেন অধিনায়ক সাকিব নিজেই। পরে মেহেদী হাসান মিরাজ পরিষ্কার এলবিডব্লিও হয়েও হাতে থাকা একমাত্র রিভিউ খুইয়েছেন। ফলে তাইজুল ইসলামকে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের পরও মাঠ ছাড়তে হয়েছে। সৌম্য সরকারও পারেননি শেষটা ঠিকঠাক করতে।

বৃষ্টির কারণে এত সহায়তার পাওয়ার পরও এত অল্প সময়ও কেন টিকতে পারল না বাংলাদেশ, কীসের সমস্যা? সামর্থ্যের অভাব? এই ম্যাচের নিরিখে সামর্থ্যই প্রশ্নবিদ্ধ অধিনায়কের কাছে, ‘দল দেখে আমি তো বলব অবশ্যই নাই (সামর্থ্য)। যদি সামর্থ্য থাকত, আমরা ভালো কিছু দেখাতে পারতাম। তাইজুলেরটা ব্যাট-প্যাড ছিল (এলবিডব্লিও)। কিন্তু মিরাজ আগেরটা... (রিভিউ)। যে একদিন ক্রিকেট খেলে তারও বোঝার মতো যে এটা পরিষ্কার আউট। স্বাভাবিকভাবে ও যদি রিভিউ না নিত তাহলে রিভিউটা তাইজুল নিতে পারত। হয়তো ওটা আমদের সাহায্য করত। কারণ তাইজুল আগের ইনিংসেও ভালো ব্যাট করেছিল, অনেকক্ষণ ডিফেন্স করেছে।’

‘এরকম ভুল-ভ্রান্তি হয়। কিংবা সৌম্য যখন রান নিয়ে (শেষ ব্যাটসম্যান নাঈমকে স্ট্রাইক দিয়ে) মাথায় হাত দিচ্ছে, তাহলে বুঝতে পারছে না ওর ভূমিকাটা কী। এই জিনিসগুলো থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। কতদিন যে লাগবে শিখতে, এটাও একটা বড় ব্যাপার।’

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago