টেস্টে সাকিবের আগ্রহ তেমন নেই: পাপন

সাদা জার্সিতে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী নন সাকিব আল হাসান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের হারার পর এ কথা বলেছেন টাইগার অধিনায়ক। এর আগেও পরোক্ষভাবে বলেছেন। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বললেন অন্য কথা। বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডারের নাকি টেস্ট খেলার প্রতিই আগ্রহ কম।
নাজমুল হাসান পাপন। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

সাদা জার্সিতে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী নন সাকিব আল হাসান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের হারার পর এ কথা বলেছেন টাইগার অধিনায়ক। এর আগেও পরোক্ষভাবে বলেছেন। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বললেন অন্য কথা। বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডারের নাকি টেস্ট খেলার প্রতিই আগ্রহ কম।

ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি কিংবা টেস্ট, যে কোনো সংস্করণেই নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের সেরা খেলোয়াড় সাকিব। তার অনুপস্থিতি দলকে বরাবরই নানাভাবে ভুগিয়ে থাকে। সে খেলোয়াড়েরই নাকি টেস্টের প্রতি আগ্রহ নেই। পাপনের ভাষায়, 'আমরা দেখছি টেস্টের ব্যাপারে বেশ কিছুদিন থেকে ওর (সাকিব) আগ্রহ তেমন নেই। বিশেষ করে আপনারা যদি দেখেন, আমাদের দলগুলো যখন বাইরে যাচ্ছিল, তখন টেস্টের সময় সে একটু বিশ্রাম চায়। স্বাভাবিকভাবে ওর হয়তো আগ্রহটা কম।'

মূলত আলোচনা উঠে আসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের পর শেষ দিনের সংবাদ সম্মেলন নিয়ে। টেস্টে নেতৃত্ব না দিলেই নিজের জন্য ভালো হতো বলে সেখানে জানিয়েছিলেন সাকিব, 'অধিনায়কত্ব যদি না করতে হয় তাহলে আমার মনে হয় সব থেকে ভালো হবে আমার জন্য। আমার কাছে মনে হয় ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে ব্যক্তিগত দিক থেকে চিন্তা করলে।'

তবে একেবারেই যে নেতৃত্ব চান না, সরাসরি তা বলেননি সাকিব। কারণ সে কথার পর আরও বলেছিলেন, 'আর নেতৃত্ব যদি দিতেই হয় তাহলে অবশ্যই অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা করার ব্যাপার আছে।' অর্থাৎ দলীয় কিংবা ম্যানেজমেন্টের কোন বিষয়ে যে তিনি অসন্তুষ্ট তা ফুটে ওঠে সাকিবের কথায়।

কিন্তু বিসিবি সভাপতি এসব আমলেই নিচ্ছেন না। নেতৃত্বে সাকিবের আগ্রহ কম, এমনটা তিনি শোনেননি বলেই জানালেন, 'অধিনায়কত্ব নিয়ে কখনও শুনিনি, আমরা কখনও শুনিনি যে অধিনায়কত্ব নিয়ে ওর আগ্রহ কম আছে। তবে অধিনায়ক হলে তো টেস্ট খেলতেই হবে। অধিনায়ক না হলে, না খেলেও পারা যায়। তাই স্বাভাবিকভাবে হয়তো এই কারণে অধিনায়কত্বের কথাটি এসেছে।'

এমনকি সম্প্রতি সাকিবের সঙ্গে আলোচনাতে এমন কোনো প্রসঙ্গ উঠে আসেনি বলে জানালেন বিসিবি সভাপতি, 'ও অনেক সার্ভিস দিয়েছে, আমরা মনে করি সে হলো সেরা অধিনায়ক। আমাদের হাতে যে বিকল্পগুলো আছে, তাদের মধ্যে থেকে সে সেরা। এখন পর্যন্ত সে আমাদের কিছু বলেনি, মিডিয়াতে বলেছে যে যদি থাকি কিংবা বোর্ডের সঙ্গে কথা বলতে হবে- এই ধরনের একটি কথা বলেছে। আমি গতকাল ওর সঙ্গে বসেছিলাম, কিন্তু সেখানে এমন কোনো আলাপ আলোচনা হয়নি।'

তবে বোর্ড সভাপতির ধারণা, মিডিয়াতে যাই বলেছেন সাকিব তা কেবল আফগানদের কাছে হারের হতাশা থেকেই বলেছেন, 'ও আমাদের সঙ্গে যখন বলবে, তখন ফরমালি বলব। হয় কি, মন-টন খারাপ থাকে তো। ও তো আগে কয়টা টেস্টে খেলেও নাই। এসে হঠাৎ করে আফগানিস্তানের সঙ্গে হারল, আর আমাদের ছেলেরা তো একটু আবেগি। ঠাণ্ডা মাথায় যা বলার বলব, যদি সে বলে।'

বছর দুই আগে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে হঠাৎ করেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে ছয় মাসের ছুটি চান সাকিব। ছুটিও মেলে তার। কিন্তু তখনই নানা আলোচনা-সমালোচনা হয় তার এ সিদ্ধান্তে। সে সিরিজ শেষেই তাকে আবার টেস্ট ক্রিকেটের জন্য অধিনায়ক ঘোষণা করে বিসিবি। অধিনায়ক হয়ে ইনজুরির কারণে মিসও করেছেন বেশ কিছু টেস্ট ম্যাচ। তবে আফগানদের বিপক্ষে টেস্টে হারার পরই নেতৃত্বে অনাগ্রহের কথা জানান সাকিব।

Comments