প্রমাণ পাওয়া গেলে জাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা: কাদের
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা করার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে এক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা ছাত্রলীগের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারার যে অভিযোগ উঠেছে সে ব্যাপারে আজ সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন কাদের।
উপাচার্য ফারজানা ইসলাম তার পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাদের মধ্যে দুই কোটি টাকা ভাগ করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকদিন ধরে সেখানে ছাত্র-শিক্ষকদের একাংশ আন্দোলন করছেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, “তিনি (জাবি উপাচার্য) যদি কোনো অন্যায় করে থাকেন, অপকর্মে সংশ্লিষ্টতা থাকে, আর তদন্তে যদি তা প্রমাণিত হয়, তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জাবি উপাচার্যের কাছে চাঁদা দাবি করে ইতিমধ্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ দুই নেতা পদ হারিয়েছেন। পদচ্যুত ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী চাঁদা দাবির কথা গণমাধ্যমের স্বীকার করেছেন। রাব্বানী ও জাবি শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার মধ্যে ফাঁস হওয়া ফোনালাপ থেকেও ভাগ-বাঁটোয়ারার ব্যাপারটি উঠে এসেছে।
তাদের ব্যাপারে উপাচার্য ফারজানা বলেছেন, ছাত্রলীগের নেতারা তার সঙ্গে দেখা করে ৪ থেকে ৬ শতাংশ টাকা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে ব্যবস্থা করে দিতে চাপ দিয়েছিলেন।
এ কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানানোর পর পদ ছাড়তে হয়েছে শোভন ও রাব্বানীকে। এছাড়াও মাদকাসক্তি, দুপুরের আগে ঘুম থেকে না ওঠা, টাকার বিনিময়ে ছাত্রলীগের শাখা কমিটি গঠন ও দলের সিনিয়র নেতাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ডেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দেরি করানোর মতো গুরুতর অভিযোগ ছিল এই দুজনের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন:
অডিও ফাঁস: উপাচার্য নিজেই টাকা ভাগ করে দিয়েছেন
উপাচার্য-ছাত্রলীগ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও পক্ষ-বিপক্ষের শিক্ষক ভাবনা
আমরা ‘ন্যায্য পাওনা’ দাবি করেছিলাম: রাব্বানী
মিথ্যা বলেছে ছাত্রলীগ, ‘চ্যালেঞ্জ’ ছুড়লেন জাবি উপাচার্য
Comments