বশেমুরবিপ্রবিতে পূজার আগাম ছুটি, হল না ছাড়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যেই পূজার আগাম ছুটি ঘোষণা করেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)।
bsmrstu.jpg
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বশেমুরবিপ্রবিতে দুর্গাপূজার আগাম ছুটি ঘোষণা করায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যেই পূজার আগাম ছুটি ঘোষণা করেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)।

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে আজ (২১ সেপ্টেম্বর) থেকে ১৫ দিনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জারিকৃত এক আদেশে, আজ সকাল ১০টার মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি আবাসিক হল ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ সত্ত্বেও হল না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা জানিয়েছেন, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় তারা ক্যাম্পাস ছাড়তে পারবেন না।

আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শামস জাবিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন।

তিনি বলেন, “চলমান আন্দোলন ঠেকাতেই তড়িঘড়ি করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।”

দুর্গাপূজা উপলক্ষে আগামী ৪ অক্টোবর থেকে পাঁচ দিনের ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কথা ছিলো বলেও দাবি করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ‘জরুরিভিত্তিতে’ এই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত টানা চারদিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে বশেমুরবিপ্রবি ক্যাম্পাসে বহু সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

Now