বেক্সিমকোর লিখিত প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে টিআইবি বক্তব্য

বেক্সিমকো লিমিটেডের চাহিদা ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এর গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে বেক্সিমকো থেকে টিআইবি চেয়ারপার্সনের কাছে পাঠানো চিঠির উত্তরে টিআইবি চেয়ারপারসনের পাঠানো বক্তব্য যেভাবে গণমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে তাকে বিভ্রান্তিকর বিবেচনা করছে টিআইবি।

আজ (২৪ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে সংস্থাটি এ বিষয়ে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে আবারো বাংলাদেশ ব্যাংককে তার নিজের সিদ্ধান্তে অটল থেকে চাহিদা ঋণ পুনঃতফসিলিকরণের আবেদন প্রত্যাখ্যান করার জোর দাবি জানিয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান তার চিঠিতে তাদের নানামুখি বিনিয়োগ, রপ্তানি ও কর্মসংস্থানের খতিয়ান তুলে ধরেছিলেন। তার প্রেক্ষিতে সঙ্গতভাবেই টিআইবি চেয়ারপারসন অন্য যেকোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মতোই বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বেক্সিমকো গ্রুপের ভূমিকা যে গুরুত্বপূর্ণ তার স্বীকৃতি দিতে চেয়েছেন মাত্র।”

“একে পুঁজি করে টিআইবির অবস্থানের মূল প্রতিপাদ্যকে পাশ কাটানোর প্রয়াস দুরভিসন্ধিমূলক এবং হতাশাব্যাঞ্জক” বলে মন্তব্য করেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।

তার মতে, উক্ত স্বীকৃতির পাশাপাশি ব্যক্তিমালিকানাধীন খাতের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেক্সিমকোর ব্যবসায়িক মডেল ও চর্চা এমন শুদ্ধাচার সম্পন্ন হবে বলে টিআইবির চেয়াপার্সন আশা প্রকাশ করেছেন যেনো তা ছোট-বড় প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুকরণীয় হয়।

“একই সঙ্গে চেয়ারপারসন অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি পুনঃতফসিলিকরণের জন্য বেক্সিমকোর উদ্যোগের প্রতি নতি স্বীকার না করে দেশের ব্যাংকিং খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে প্রত্যাশিত ভূমিকা পালনের আহ্বানের কথা পূনর্ব্যাক্ত করেন।”

ড. জামান আরো বলেন, “টিআইবি চেয়ারপারসন তার চিঠিতে এই বলে আশ্বস্ত করেছেন যে, ব্যক্তি বিবেচনা নয় বরং সুশাসন ও শুদ্ধাচার পরিপন্থি এবং বিধিবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াই টিআইবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তির ক্ষেত্রে মূল বিবেচ্য।”

তিনি আরো উল্লেখ করেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের নিজস্ব নীতিমালাকে পাশ কাটিয়ে যেভাবে একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠানকে অন্যায্য ঋণ পুনঃতফসিলিকরণের সুবিধা দেওয়ার আত্মঘাতী উদ্যোগ নিয়েছে টিআইবি তার সমালোচনা করা ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানোকে নৈতিক কর্তব্য বলে মনে করে।”

এ প্রসঙ্গে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করে মূলত খেলাপি ঋণ প্রাতিষ্ঠানিকিকরণের মাধ্যমে সৃষ্ট ব্যাংকিং খাতের সঙ্কট উত্তরণের পন্থা নির্ধারণের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন, যার মাধ্যমে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদী সংস্কার পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন অপরিহার্য বলে মনে করছে সংস্থাটি।

Comments

The Daily Star  | English

BGMEA wants 3-month window from India to clear pending shipments

The association urges the interim government to send a letter to India seeking the opportunity

3h ago