আফগানদের কাছ থেকে শেখার কিছু দেখছেন না মাহমুদউল্লাহ

মাত্র দুই টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে এসে নিবেদন, দৃঢ়তা আর স্কিলের প্রমাণ রেখে বাংলাদেশকে টেস্টে গুঁড়িয়ে দেয় আফগানিস্তান। সাদা পোশাকে অনভিজ্ঞ রশিদ খানদের সঙ্গে ওভাবে হেরে যাওয়ার পর প্রতিপক্ষকে বাহবা দিলেও পুরো সিরিজ শেষে মাহমুদউল্লাহর অনুভব, ওদের কাছ থেকে আহামরি কিছু শেখার নেই।
Mahmudullah
মাহমুদউল্লাহ। ফাইল ছবি

মাত্র দুই টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে এসে নিবেদন, দৃঢ়তা আর স্কিলের প্রমাণ রেখে বাংলাদেশকে টেস্টে গুঁড়িয়ে দেয় আফগানিস্তান। সাদা পোশাকে অনভিজ্ঞ রশিদ খানদের সঙ্গে ওভাবে হেরে যাওয়ার পর প্রতিপক্ষকে বাহবা দিলেও পুরো সিরিজ শেষে মাহমুদউল্লাহর অনুভব, ওদের কাছ থেকে আহামরি কিছু শেখার নেই। 

একমাত্র টেস্টে বাংলাদেশকে বড় ব্যবধানে হারানোর পর টোয়েন্টি টুর্নামেন্টেও স্বাগতিকদের উড়িয়েই শুরু করে আফগানিস্তান। যদিও পরে ঘুরে দাঁড়িয়ে আফগানদের হারায় বাংলাদেশ। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ফাইনাল ভেস্তে যাওয়ায় টেস্টে আফগানদের দিয়ে যাওয়া ক্ষতের উপশম হচ্ছে না। পুরো সিরিজের হিসেব নিকেশ করতে বসে না চাইলেও উঠে আসছে টেস্টের ব্যর্থতা।

টি-টোয়েন্টিতে র‍্যাঙ্কিং, অভিজ্ঞতাতেই এগিয়ে আফগানরা। সেদিক থেকে তাদের চেয়ে এগিয়ে লিগ পর্ব শেষ করায় এই সংস্করণে নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট সিরিজে দারুণ ছন্দে থাকা মাহমুদউল্লাহ,  ‘সব মিলিয়ে আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টিতে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। কিছু কিছু বিভাগে হয়ত আরও উন্নতির জায়গা আছে। কোচও প্রেস কনফারেন্সে এমনটা বলেছিল, আমি তার সঙ্গে একমত যে বেশ কিছু জায়গায় উন্নতি দরকার।’

টি-টোয়েন্টিতে যেখানে আফগানরা এগিয়ে, টেস্টে সব কিছু হিসেবে নিলেও অনেকটাই এগিয়ে থাকার কথা বাংলাদেশের। চেনা কন্ডিশনে নবীন একটা দলের কাছে টেস্ট হারটাই ক্ষত হয়ে আছে পুরো সিরিজের। মাহমুদউল্লাহ শুরুর ওই দিকটাকেই দেখলেন আঁধার হিসেবে, ‘টেস্ট অবশ্যই হতাশাজনক ছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমাদের দল আরো বেশি কিছু দেওয়ার সামর্থ্য রাখে। টেস্ট ম্যাচ শেষ হওয়ার পর নিজেদের মধ্যে কথা বললাম, তখন আস্তে আস্তে চিন্তা করলাম আমাদের শক্তভাবে ফিরে আসতে হবে। আবার টি-টোয়েন্টিতে ওদের কাছে প্রথম ম্যাচে হারা। তারপর মোরালি আমরা কিছুটা ডাউন ছিলাম। আমার মনে হয় সবার ভেতরে যে স্পৃহা ছিল ওটা কাজে দিয়েছে (টি-টোয়েন্টিতে ঘুরে দাঁড়াতে)।’

সিরিজের একমাত্র টেস্টটিতে আলাদা করে নজর কাড়ে আফগানদের শরীরী ভাষা। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা যেখানে অস্থিরতায় ভুগেছেন তাদের ব্যাটসম্যানরা দেখান টেস্টের মেজাজ। ওদের স্পিনারদের ঘূর্ণি সামনে তো রীতিমতো খাবি খেয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। পরিস্থিতি কীভাবে নিজেদের দিকে নিতে হয়, সেশনের পর সেশন কীভাবে লাগাম ধরে রাখতে হয় তা দেখে গেছে আফগানদের খেলায়। বৃষ্টির বাধা সত্ত্বেও বাংলাদেশকে তাই তারা হারায় ২২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে।

সাদা পোশাকে ছোট দলের এমন নৈপুণ্যে বাহবা দিলেও তাদের কাছ থেকে আবার কিছু নেওয়ার আছে বলে মনে করেন না মাহমুদউল্লাহ,  ‘না আমার মনে হয় না ওদের কাছ থেকে আহামরি কিছু শেখার আছে। আমাদের ভুলের পরিমাণ বেশি ছিল এইজন্য রেজাল্ট ওরকম হয়েছে। আবার কৃতিত্বও দিতে হবে তাদের কারণ তারা ভালো ক্রিকেট খেলেছে। আমরা খুব বাজে ক্রিকেট খেলেছি। ’

Comments