ক্যাপিটাল লেটারে স্বাক্ষর হওয়ায় সালাহকে দেওয়া ভোট বাতিল!

মিশরের ভারপ্রাপ্ত কোচ শাউকি ঘারিব এবং অধিনায়ক আহমেদ এলমোহামাদি ২০১৯ সালের বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন নিজ দেশের সেরা তারকা মোহামেদ সালাহকে। কিন্তু ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা জানিয়েছে, তাদের ভোটগুলো বাতিল করা হয়েছে। কারণ ভোটিং ফর্মে তারা ক্যাপিটাল লেটারে (বড় হাতের অক্ষরে) স্বাক্ষর করেছিলেন!
ছবি: এএফপি

মিশরের ভারপ্রাপ্ত কোচ শাউকি ঘারিব এবং অধিনায়ক আহমেদ এলমোহামাদি ২০১৯ সালের বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন নিজ দেশের সেরা তারকা মোহামেদ সালাহকে। কিন্তু ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা জানিয়েছে, তাদের ভোটগুলো বাতিল করা হয়েছে। কারণ ভোটিং ফর্মে তারা ক্যাপিটাল লেটারে (বড় হাতের অক্ষরে) স্বাক্ষর করেছিলেন!

গেল সোমবার মিলানের অপেরা হাউজ লা স্কালায় ‘দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে বর্ষসেরা ফুটবলারের পদক বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের পর কে কাকে ভোট দিয়েছেন তা নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে ফিফা। ভোটদাতাদের তালিকায় ছিল না মিশরীয় কোচ ও অধিনায়কের নাম। তবে তারা দুজনই জানান, তারা ভোট দিয়েছেন এবং তাদের প্রথম পছন্দের খেলোয়াড় ছিলেন লিভারপুল ফরোয়ার্ড সালাহ। এমন অদ্ভুতুড়ে কাণ্ডের পর মিশরীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ইএফএ) ব্যাখ্যা জানতে চায় ফিফার কাছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ফিফা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘(মিশরের কোচ-অধিনায়কের) ভোটিং ফর্মে যে সইগুলো ছিল তা ছিল ক্যাপিটাল লেটারে এবং সেকারণে সেগুলো বৈধতা পায়নি।’

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ফর্মগুলোতে ইএফএ’র সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর থাকাও বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু সেটাও ছিল না। ফিফা এমনকি দাবি করেছে, এই বিষয়গুলো ঠিকঠাক করার জন্য গেল ১৯ অগাস্ট তারা দুবার যোগাযোগ করেছিল ইএফএ’র সঙ্গে। কিন্তু মিশরীয়দের পক্ষ থেকে যথাসময়ে উত্তর পাওয়া যায়নি। তাই ভোটগুলো গণনা করা হয়নি।

উল্লেখ্য, ৪৬ র‍্যাঙ্কিং পয়েন্ট নিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো ফিফার বর্ষসেরা হয়েছেন বার্সেলোনার লিওনেল মেসি। ৩৮ র‌্যাঙ্কিং পয়েন্ট নিয়ে তার পরেই আছেন লিভারপুলের ভার্জিল ভ্যান ডাইক। তৃতীয় স্থানে থাকা জুভেন্টাসের ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর র‌্যাঙ্কিং পয়েন্ট ৩৬। সালাহ রয়েছেন চতুর্থ স্থানে। তার র‍্যাঙ্কিং পয়েন্ট ২৬। সালাহর স্বদেশী কোচ ও অধিনায়কের ভোট বাতিল করা না হলেও অবশ্য বর্ষসেরাদের তালিকার এই ক্রমের কোনো পরিবর্তন হতো না।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago