ফিটনেসের কড়াকড়ি থেকে সরে আসার ইঙ্গিত
ব্লিপ টেস্টে ১১ তুলতে হবে, না হলে জাতীয় লিগে খেলা যাবে না। নির্বাচকদের বেধে দেওয়া এমন নিয়মের পর দুর্ভাবনায় পড়েছিলেন জাতীয় দল ও বিসিবির অন্যান্য দলের বাইরে থাকা স্থানীয় ক্রিকেটাররা। তবে আগের আসরগুলোর পারফরম্যান্সের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে ব্লিপ টেস্টেই এই কড়া নিয়ম থেকে সরে আসারই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সোমবার ২১তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের সমন্বয় সভার পর বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী ও নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন, দুজনেই স্পষ্ট করলেন নিয়মিত পারফর্মারদের ক্ষেত্রে ব্লিপ টেস্টে কড়া নিয়ম শিথিল করতে যাচ্ছেন তারা।
১০ অক্টোবর থেকে দেশের চার ভেন্যুতে শুরু হবে এবারের জাতীয় লিগ। তার আগে ১ অক্টোবর ক্রিকেটাররা অংশ নেবেন ব্লিপ টেস্টে। সেখানে নূন্যতম স্কোর দেওয়া হয়েছিল ১১। তবে তা যে কড়াকড়িভাবে পালন করা হবে না সভা শেষে জানান বিসিবি সিইও, ‘টার্গেট দেয়া হয়েছে ব্লিপ টেস্টে ১১। আমরা ফিটনেসের উপর প্রাধান্য দিচ্ছি। এখন নির্বাচকরা যদি কাউকে অন্যভাবে বিবেচনা করেন, তাহলে করতে পারেন। ফিটনেস নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা হচ্ছে। এটি খেলোয়াড়দের পারফর্ম্যান্সে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’
সিইওর কথা অনুযায়ী নির্বাচক হাবিবুল আরও খোলাশা করে জানান, নিয়মিত পারফর্মারদের কেউ যদি ব্লিপ টেস্টে ১১ নাও করতে পারেন, তবু তারা জাতীয় লিগে বিবেচিত হবেন, ‘আমরা একটা মান ঠিক করার চেষ্টা করছি। গতবার ৯ ছিল, এবার ১১ করেছি। আমার মনে হয় তারা সবাই পেশাদার ক্রিকেটার। সবারই ফিটনেস ভাল পর্যায়ে রাখা উচিত। কিন্তু যারা পারফফর্মার তারা যদি ১১ করতে না পারেন তাহলেও বিবেচনা করা হবে। তবে এটা কোন বেঞ্চমার্ক রাখব না। আমরা তখন চিন্তা করব কত করলে দেয়া যাবে।’
এবার ফিটনেসের উপর জোর দিয়ে সংস্কৃতি বদলের পরিকল্পনা নিয়েছেন নির্বাচকরা। তবে শারীরিক ফিটনেস আর ম্যাচ ফিটনেসের মধ্যে যে আছে তফাত। কোন কোন ক্রিকেটার ব্লিপ টেস্টে ১১ তুলতে না পারলেও ম্যাচ ফিটনেসে আবার তারা থাকতে পারেন এগিয়ে, হতে পারেন সেরা পারফর্মার। হাবিবুলও সেটা মানেন। তবে সবার আগে তাদের বিবেচনায় শারীরিক ফিটনেসই, ‘ম্যাচ ফিটনেস আর ব্লিপ টেস্টে অবশ্যই পার্থক্য আছে। তবে আপনি যদি ফিট না হন তাহলে ম্যাচ ফিটনেস পড়তে বাধ্য। ফিটনেস ও ফিল্ডিং আমরা উন্নতি করতে চাই।'
Comments