খর্ব শক্তির শ্রীলঙ্কাকে ঘরের মাঠে সহজেই হারাল পাকিস্তান
কুশল মেন্ডিস, কুশল পেরারা, দিমুথ করুনারত্নে কিংবা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। নিরাপত্তাজনিত কারণে নিয়মিত একাদশের অনেক ক্রিকেটারই যাননি পাকিস্তান সফরে, ছিলেন না থিসারা পেরেরাও। খর্বশক্তির শ্রীলঙ্কাকে ঘরের মাঠে পেয়ে তাই নিজেদের দাপট দেখিয়েছে পাকিস্তান। জিতেছে অনেকটা অনায়াসে।
বৃষ্টিতে প্রথম ম্যাচ ভেসে যাওয়ার পর বদলি সূচিতে দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান জিতেছে ৬৭ রানে। আগে ব্যাট করে বাবর আজমের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের করা ৩০৫ রানের জবাবে চরম ব্যাটিং বিপর্যয় সামলে লঙ্কানরা থামে ২৩৮ রানে। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে স্বাগতিকরা এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।
বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অনেকের নজরে থাকা এই সিরিজ খেলার বাইরের পরিবেশ ছিল বাড়তে আগ্রহের। করাচিতে দশ বছর পর অনুষ্ঠিত হওয়া ওয়ানডেতে অবশ্য গ্যালারি ছিল না ভরপুর। বাজে ব্যবস্থাপনায় একাধিকার ফ্লাড লাইট বন্ধ হয়ে বিঘ্ন ঘটে খেলায়।
দিবারাত্রির ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে জুতসই শুরু করেন ফখর জামান আর ইমাম-উল হক। ৩১ করা ইমামের আউটে ৭৩ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। ফখর ফেরেন ৬৫ বলে ৫৪ করে।
এরপর আসল খেলাটা খেলেন পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান বাবর। হারিস সোহেলের সঙ্গে ১১১ রানের জুটিতে দলের বড় সংগ্রহের ভিত পাইয়ে দেন তিনিই। ৪৮ বলে ৪০ করে হারিস ফেরার পরও চলে বাবর লড়াই। ১০৫ বলে ৮ চার আর চারটি ছক্কায় ১১৫ রান করে লাহিরু কুমারার বলে আউট হন তিনি। ছয়ে নামা ইফতেখার আহমেদ ২০ বলে ৩২ করলে তিনশো পেরিয়ে যায় পাকিস্তানিদের পূঁজি।
৩০৬ রান তাড়ায় শ্রীলঙ্কার শুরু হয় ভয়াবহ বিপর্যয়ে। মাত্র ২৮ রানে ফিরে যান প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান। লঙ্কানদের টপ অর্ডার কাঁপিয়ে দেন মোহাম্মদ আমির আর উসমান শেনওয়ারি। শুরুতেই হারের কাছে চলে যাওয়া দল দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় শিহান জয়াসুরিয়া ও দাসুন শানাকার ব্যাটে। দারুণ জুটিতে এই দুজন এক পর্যায়ে জাগিয়ে তুলেন অবিশ্বাস্য জয়ের ক্ষীণ আশাও।
৬ষ্ঠ উইকেটে তাদের জুটি যখন বিপদজনক রূপ নিয়েছে তখন দুই দুবার ফ্লাড লাইট বন্ধ হয়ে বিঘ্ন ঘটে খেলায়। কিছুটা যেন মোমেন্টামও হারিয়ে বসেন তারা। তাদের ১৭৭ রানের জুটি ভাঙে সেঞ্চুরির কাছে থাকা জয়াসুরিয়ার আউটে। ৯৬ রানে থাকা এই বাঁহাতি শেনওয়ারির বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে।
সঙ্গী বিচ্ছেদের পরের ওভারেই বিদায় নেন দাসুনও। এরপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়া ছাড়া উপায় ছিল না সফরকারীদের। একই মাঠে ২ অক্টোবর হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান : ৫০ ওভারে ৩০৫/৭ (বাবর ১১৫, ফখর ৫৪ ; হাসারঙ্গা ২/৬৩)
শ্রীলঙ্কা: ৪৬.৫ ওভারে ২৩৮ (জয়াসুরিয়া ৯৬, দাসুন ৬৮ ; শেনওয়ারি ৫/৫১)
ফল: পাকিস্তান ৬৭ রানে জয়ী।
Comments