দলে ফেরার আশায় নিবিড় অনুশীলনে ইমরুল
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত শিশুপুত্রকে নিয়ে বেশ কয়েকদিন দেশ-বিদেশে ছুটোছুটির মধ্যে ছিলেন ইমরুল কায়েস। মন দিতে পারেননি ক্রিকেটে। জোর বিবেচনায় থাকলেও ব্যক্তিগত এই সংকটের কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে তাকে স্কোয়াডে রাখতে পারেননি নির্বাচকরা। সব দুর্দিন পেরিয়ে ইমরুল অবশেষে ফিরেছেন ক্রিকেটে, শুরু করেছেন নিবিড় অনুশীলন। আপাতত লক্ষ্য জাতীয় লিগে বড় কিছু করা। বড় লক্ষ্য ভারত সফরের দল ফেরা।
ডেঙ্গু আক্রান্ত ছেলের অবস্থা জটিল আকার নিলে তাকে নিয়ে যেতে হয় সিঙ্গাপুর। সেখানে উন্নত চিকিৎসার পর ইমরুলের পরিবারে ফিরেছে স্বস্তি। এবার আরেকটি বড় স্বস্তির খোঁজে আছেন টেস্টে তামিম ইকবালের পর পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ওপেনার।
ইমরুলের দলে আসা, এবং দল থেকে বাদ পড়া অবশ্য এখন আর বড় খবর নয়, এটা এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। কখনো চোটে বাদ পড়েছেন, কখনো আবার পারফর্ম করেও দলের কৌশল কিংবা চাহিদায় কোপ পড়েছে তার উপর। কখনোবা নিজেও মেটাতে পারেননি দলের চাহিদা।
কিন্তু বাংলাদেশ দলের টপ অর্ডারে অন্যদের ব্যর্থতায় ইমরুলের একটা সুযোগ বারবার এসেই যায়। আবারও তেমনি পরিস্থিতি। নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে হয়ত তিনি বিবেচিত নন। কিন্তু ভারতের মাঠে দুই টেস্টের সিরিজে ইমরুল থাকবেন জোর বিবেচনাতেই।
বিশ্রাম কাটিয়ে ভারত সফরে ফিরবেন তামিম। তাতে সুযোগ কমে যাওয়ার কথা ইমরুলের। কিন্তু আফগানিস্তান সিরিজে সৌম্য সরকার, লিটন দাস কিংবা সাদমান ইসলাম কেউই নিজেদের রাঙাতে পারেননি। এখানে তাই একটা জায়গা দেখছেন তিনি। আরও একবার তার আশা টেস্ট দলে ফেরার, ‘কোন যুক্তিতে আশা করি সেটা বলতে পারব না। কিন্তু আশা তো সবাই করে। আশা নিয়েই সবাই সামনে আগায়। আমিও সেই আশা নিয়েই অপেক্ষায় আছি। যদি সামনে সুযোগ আসে সেই সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। আমার একটা সুযোগ এসেছিল (আফগানিস্তান সিরিজে)। ওই সময়ে কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমার ছেলের অসুস্থতার কারণে আমি খেলতে পারলাম না। ওইটা তো আর শেষ হয়ে যায় নাই। সামনে যদি সুযোগ আসে অবশ্যই চেষ্টা করব শতভাগ দেয়ার।’
তার জন্য ইমরুলের সামনে আছে জাতীয় লিগ। ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া লিগে ইমরুল খেলবেন খুলনা বিভাগের হয়ে। অন্তত প্রথম দুই রাউন্ড খেলে বড় কিছু করে দলে ফেরার দাবি জানাতে মরিয়া তিনি, ‘টেস্ট সিরিজের আগে এমন একটা সুযোগ পাওয়া প্রতিটি ক্রিকেটারের জন্য অবশ্যই ভালো। এমনকি যারা 'এ' দলের হয়ে খেলছে তাদের জন্য বড় সুযোগ চারদিনের ম্যাচ খেলা। আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই ফোকাস থাকব এবং চেষ্টা করব এনসিএলে নিজের সেরাটা দেয়ার।’
Comments