আমি রাঁধুনিকে বলে দিয়েছি, এখন থেকে রান্নায় পেঁয়াজ বন্ধ করে দাও: শেখ হাসিনা

ভারত সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ভারতের হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে অবাক করে দিয়েছিলো। যার কারণে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম আকাশছোঁয়া অবস্থায় পৌঁছায়।

ভারত সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ভারতের হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে অবাক করে দিয়েছিলো। যার কারণে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম আকাশছোঁয়া অবস্থায় পৌঁছায়।

আজ (৪ অক্টোবর) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে আইসিটি মৌর্য হোটেলের কামাল মহল হলে আয়োজিত ভারত-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের (আইবিবিএফ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়, আর তাতে সমস্যায় পড়ে বাংলাদেশ।”

তিনি আরও বলেন, “ভারত এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বাংলাদেশকে আগে জানালে, ঢাকা অন্য কোনো দেশ থেকে পেঁয়াজ আনার ব্যবস্থা করে নিতো।”

ইংরেজিতে দেওয়া বক্তব্যের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হঠাৎ হিন্দি ভাষায় বলতে শুরু করেন, “পেঁয়াজ মে থোড়া দিক্কত হো গিয়া হামারে লিয়ে। মুঝে মালুম নেহি, কিউ আপনে পেঁয়াজ বন্ধ কার দিয়া! ম্যায়নে কুক কো বোল দিয়া, আব সে খানা মে পেঁয়াজ বান্ধ কারদো (পেঁয়াজ নিয়ে একটু সমস্যায় পড়ে গেছি আমরা। আমি জানি না, কেনো আপনারা পেঁয়াজ বন্ধ করে দিলেন। আমি রাঁধুনিকে বলে দিয়েছি, এখন থেকে রান্নায় পেঁয়াজ বন্ধ করে দাও)।”

শেখ হাসিনার এমন রসিকতায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে হাসির রোল ওঠে। মুখরিত করতালিতে তারা এই বক্তৃতায় সাড়া দেন।

উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ছয় বছরের রেকর্ড ভেঙে প্রতি একশো কেজি পেঁয়াজের দাম ৪ হাজার ৫০০ রুপিতে পৌঁছালে ওইদিনই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয় ভারত। এতে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকায় উঠে।

আরও পড়ুন:

বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বড় ভূমিকা রাখতে পারে: প্রধানমন্ত্রী

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

Now