আবরার ফাহাদের দাফন সম্পন্ন
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে তৃতীয় জানাজা শেষে ছাত্রলীগের হাতে নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এর আগে সকাল ৬টায় কুষ্টিয়া শহরের পিটিটিআই রোডস্থ নিজ বাড়িতে আবরারের মরদেহ পৌঁছলে সেখানে আল-হেরা জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৬টায় দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর লাশ নিয়ে যাওয়া হয় আবরার ফাহাদের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে। সেখানে তার তৃতীয় জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
ফাহাদের মরদেহ শেষবারের মতো দেখতে সেখানে ছুটে আসেন হাজারো মানুষ। সৃষ্টি হয় হৃদয় বিদারক দৃশ্যের। চারিদিকে কান্নার আওয়াজ। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব প্রতিবেশীদের আহারাজিতে ভারি হয়ে উঠে আশপাশ।
আবরার ফাহাদের ছোটভাই আবরার ফাইয়াজ বলেন, “মানসিকভাবে পুরোপুরি বিধ্বস্ত আছি। এর কোনো সান্ত্বনা হয় না। বাবা ও মা মৃতপ্রায়। মা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।”
এদিকে একেবারে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন ফাহাদের ৮৬ বছর বয়সী দাদা আব্দুল গফুর। শারীরিক কারণে তাকে খুব সাবধানে ফাহাদের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়।
রায়ডাঙ্গা গ্রামের আলতাফ হোসেন বলেন, “আবরার ফাহাদ একজন চমৎকার স্বভাবের ছেলে ছিলো। পড়াশুনার চাপের কারণে গ্রামের বাড়িতে খুব আসার সুযোগ হতো না তার। তারপরও যখন আসতো পাড়ার সবার সঙ্গে কথা বলতো, মিশতো।”
“গ্রামে এলেই ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের বিকালের দিকে বাড়ির সামনে বসিয়ে লেখাপড়া শিখাতো ফাহাদ। এমন ছেলেকে যারা হত্যা করলো তাদের কঠোরভাবে বিচার করা হোক,” যোগ করেন আলতাফ।
আরো পড়ুন:
‘খুনিদের ঠিকানা, এই বুয়েটে হবে না’
বুয়েট শাখার ৯ নেতাকে বহিষ্কার করলো ছাত্রলীগ
ছাত্রলীগের জেরার পর বুয়েট শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
সিসিটিভি ফুটেজ: আবরারকে পাঁজাকোলা করে সিঁড়িতে নেওয়া হয়
শিবিরের সঙ্গে আবরারের সংশ্লিষ্টতা ছিল না: পরিবার
দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করুন: ছাত্রলীগ
মতের পার্থক্যের কারণে কাউকে মেরে ফেলা উচিত না: কাদের
Comments