বুয়েটে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারী রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি
বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারীদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে বুয়েট এ্যালামনাই।
আজ (৯ অক্টোবর) এ্যালামনাই সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
এছাড়াও, অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে এ্যালামনাই সদস্যরা বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন।
বুয়েট এ্যালামনাইয়ের সাত দফা দাবির মধ্যে আরো রয়েছে- বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে বিশেষ ট্রাইবুনালের আওতায় এনে দ্রুততম সময়ে বিচার; জড়িতদের অনতিবিলম্বে বুয়েট থেকে ‘আজীবনের’ জন্যে বহিষ্কার এবং বুয়েট প্রশাসনকে ঐতিহ্যের পরিপন্থি যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব বা প্রভাব মুক্ত রাখার জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
এছাড়াও, বুয়েট ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গ সংগঠন-ভিত্তিক ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মচারীদের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড অবিলম্বে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবিও জানানো হয় এ্যালামনাইয়ের পক্ষ থেকে।
অবিলম্বে বুয়েট উপাচার্যের অপসারণ, র্যাগিং ও অন্যান্য অজুহাতে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং ইতোপূর্বে সংগঠিত ঘটনাগুলোর বিচার নিশ্চিত করার দাবিও জানানো হয়।
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিন্নমত প্রকাশ কারয় গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েট শাখার ছাত্রলীগ নেতারা আবরারকে শেরে বাংলা হল থেকে ডেকে নিয়ে জেরা করে ও স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক পেটায়।
এরপর, ৭ অক্টোবর ভোররাতে তাকে হলের সিঁড়ির কাছে ফেলে রেখে যায় তারা।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ এবং বুয়েট শাখার নয় নেতাকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ।
আরো পড়ুন:
বুয়েটে ৭ দিনের মধ্যে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের আল্টিমেটাম
উপাচার্যকে পেয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের বিস্ফোরণ
বুয়েট শাখার ৯ নেতাকে বহিষ্কার করলো ছাত্রলীগ
ছাত্রলীগের জেরার পর বুয়েট শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
সিসিটিভি ফুটেজ: আবরারকে পাঁজাকোলা করে সিঁড়িতে নেওয়া হয়
শিবিরের সঙ্গে আবরারের সংশ্লিষ্টতা ছিল না: পরিবার
দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করুন: ছাত্রলীগ
মতের পার্থক্যের কারণে কাউকে মেরে ফেলা উচিত না: কাদের
Comments