ম্যানচেস্টার সিটিতে প্রশিক্ষণে অ্যান্ডারসন
মাংসপেশির চোটের কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবশেষ অ্যাশেজ সিরিজে একরকম দর্শক হয়েই কাটাতে হয়েছে ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ ফাস্ট বোলার জেমস অ্যান্ডারসনকে। প্রথম টেস্টে মাত্র চার ওভার বল করেই ছিটকে যান তিনি। পরের ম্যাচগুলোতে আর খেলা হয়নি তার। একই কারণে আগামী মাসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ থেকেও বাদ পড়েছেন তিনি।
দীর্ঘমেয়াদী চোট সত্ত্বেও মাঠে ফিরতে মরিয়া অ্যান্ডারসন। বয়স ৩৭ পেরিয়ে গেলেও ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে আরও লম্বা করতে চান তিনি। তাই চোট থেকে সেরে উঠতে অনুশীলনে মনোযোগী হচ্ছেন এই বর্ষীয়ান তারকা। আর তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা ফুটবল ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি।
বুধবার (৯ অক্টোবর) ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো জানিয়েছে, ম্যান সিটির ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে প্রশিক্ষণ নেবেন অ্যান্ডারসন। আগামী দুই মাস অনুশীলনের ক্ষেত্রে ক্লাবটির যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন তিনি। পাবেন চিকিৎসা বিষয়ক সহায়তাও।
এ সময়ে ইংল্যান্ডের ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামের স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং কোচ রব আহমান অ্যান্ডারসনের শারীরিক অবস্থা তত্ত্বাবধান করবেন। তারা দুজন এরই মধ্যে ম্যান সিটির ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান স্যাম এরিথের সঙ্গে প্রশিক্ষণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। শিগগিরই দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি হবে।
১৪৯ ম্যাচে ৫৭৫ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের ইতিহাসের সর্বকালের সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেট সংগ্রাহক অ্যান্ডারসন। অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রাকে টপকে তিনিই এখন এই ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি উইকেট দখল করা পেস বোলার। তবে সম্প্রতি চোট তাকে বেশ ভোগাচ্ছে। অ্যাশেজের প্রায় পুরোটা সময় দলের বাইরে থাকার পর কিউই সফরের স্কোয়াডেও জায়গা হয়নি তার।
তবে আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর দিয়ে ইংল্যান্ডের সাদা জার্সিতে ফিরতে চান অ্যান্ডারসন। সে কারণে চোট থেকে সেরে উঠতে অনুশীলনের তোড়জোড় শুরু করেছেন তিনি। আর যদিও এই ডানহাতি সাধারণত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ঘরের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন, তবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের অন্য ক্লাবে তার পা রাখতে যাওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। গেল বছর বার্নলি কোচ শন ডাইকের আমন্ত্রণে সেখানে অনুশীলন করেছিলেন তিনি।
চোটের কারণে ক্যারিয়ার হুমকির মুখে থাকলেও অ্যান্ডারসন অবসর নিয়ে এখনই ভাবছে না। তিনি ওয়েলস ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক তারকা ফুটবলার রায়ান গিগসকে অনুসরণ করে আরও দূরে যেতে চান, ক্রিকেট নিয়ে মেতে থাকতে চান।
‘অ্যাশেজে খেলতে না পারাটা খুবই হতাশাজনক ব্যাপার ছিল কিন্তু আমি এক সেকেন্ডের জন্যও অবসর নিয়ে ভাবিনি। রায়ান গিগস যেভাবে ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত খেলে গেছেন, সেটা আমি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে যাচ্ছি। আমিও এমন কিছু করতে চাই।’
Comments