মাদক চোরাচালান বন্ধে বাংলাদেশ-ভারতের ঐকমত্য

মাদকদ্রব্য চোরাচালান বন্ধে বাংলাদেশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) এবং ভারতের মাদকনিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি) পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে ঐকমত্যে পোঁছেছে।
ছবি: বাসস

মাদকদ্রব্য চোরাচালান বন্ধে বাংলাদেশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) এবং ভারতের মাদকনিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি) পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে ঐকমত্যে পোঁছেছে।

গতকাল (১০ অক্টোবর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ ও ভারতের মাদকনিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নোডাল এজেন্সির মহাপরিচালক পর্যায়ে দুদিনব্যাপী ৬ষ্ঠ দ্বিপাক্ষিক সভায় দুই দেশ এই ঐক্যমত্যে পোঁছায়।

দেশ দুটির মহাপরিচালক পর্যায়ের যৌথ বৈঠকের পর এক ‘মিট দ্য প্রেসে’ তারা এ ব্যাপারে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

সভায় উভয় পক্ষ মাদক চোরাচালানের রুটগুলোর তালিকা বিনিময় করেছে বলে ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।

বাংলাদেশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. জামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, “যৌথ বৈঠকে ফেন্সিডিলসহ অন্যান্য মাদক যেসব রুট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে সেসব রুট সম্পর্কে বাংলাদেশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ভারতের মাদকনিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর মহাপরিচালককে জানিয়েছে। এ ব্যাপারে তারা (ভারত) ইতিবাচক ও কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।”

বৈঠক সফল হয়েছে উল্লেখ করে ডিজি জামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, “মাদক ও মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত ঘটনায় যেসব বাংলাদেশি ভারতে গ্রেপ্তার রয়েছেন, তাদের হস্তান্তরের ব্যাপারে ভারত ইতিবাচক এবং এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন।”

তিনি জানান, ভারতে অবৈধ গাঁজা ও পপি চাষ বন্ধে আলোচনা হয়েছে। ভারত এসব মাদক ধ্বংস করে দিবে বলে জানিয়েছে।

ভারতের মাদকনিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানা যৌথ ব্রিফিংয়ে বলেন, “বাংলাদেশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদক প্রবেশ বন্ধে করণীয় সম্পর্কে আমাদের জানিয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিবো।”

“মাদক নির্মূলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে,” বলে আশা করেন তিনি।

সভায় ভারতের পক্ষে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ভারতের মাদকনিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানা এবং ২১ সদস্যের বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দীন আহমেদ।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago