টেল এন্ডারদের নিয়ে খেলে দারুণ ডাবল সেঞ্চুরি ইমরুলের
৩২৮ রানে পড়েছিল অষ্টম উইকেট। তখন কেবল সেঞ্চুরি পেরিয়েছেন ইমরুল কায়েস। এরপর রুবেল হোসেনকে নিয়ে নবম উইকেটে যোগ করেন ৮৪ রান। যাতে রুবেলের অবদান মাত্র ২। দশম উইকেটে ঝড় তুলে আল-আমিন হোসেনকে নিয়ে ৪২ রানের আরেক জুটি। যাতে আল-আমিনের করেন কেবল ১। টেল এন্ডারদের নিয়ে দারুণ লড়াই করে প্রথম শ্রেণীতে নিজের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি করলেন ইমরুল।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) খুলনায় ইমরুল খেলেন ৩১৯ বলে ২০২ রানের ইনিংস। ১৯ চার আর ৬ ছক্কায় পান জাতীয় লিগে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির দেখা। এর আগে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণীর আরেক আসর বিসিএলে একটি ডাবল সেঞ্চুরি ছিল তার।
আগের দিনের ৩ উইকেটে ১৯২ রান নিয়ে নামে খুলনা বিভাগ। যাতে ইমরুল অপরাজিত ছিলেন ২৯ রানে। সঙ্গী সৌম্য সরকারকে নিয়ে সকালের প্রথম ঘণ্টা অনায়াসে পার করে দেন ইমরুল। শুভাশিস রায়ের বলে ৯১ বলে ৩৬ করা সৌম্য ফিরলে ভাঙে ৬৩ রানের জুটি।
এরপর আরেক পাশে নামে ধস। তার বিপরীতে একা ব্যাট চালিয়ে যান ইমরুল। মঈনুল ইসলামকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে ৩৯ রানের জুটিতে গড়েন প্রথম প্রতিরোধ। ৩২ বলে ১৭ করা মঈনুল ফিরলে দ্রুত ফিরে যান আব্দুর রাজ্জাকও। আরেক দিকে দারুণ খেলতে থাকা ইমরুলের দেড়শো পেরুনোও তখন শঙ্কায়।
এরপরই দুই টেল এন্ডারকে নিয়ে রোমাঞ্চের শুরু ইমরুলের। রুবেলকে একপাশে রেখে তরতরিয়ে বাড়াতে থাকেন রান। রুবেলও রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ৪৪ বল ঠেকিয়ে করেন ২। ইমরুলকে দেন মূল্যবান সঙ্গ। জাতীয় দলে ফেরার লড়াইয়ে থাকা ইমরুল শেষ উইকেট জুটিতেও দেখান নিজের একক মুন্সিয়ানা।
রুবেল আউট হওয়ার সময় ডাবল সেঞ্চুরিতে থেকে ২৬ রান দূরে তিনি। এরপর আল-আমিনকে নিয়ে বাকিপথ পাড়ি দেন একাই। চার-ছক্কায় মাত করে দ্রুত তুলে নেন ডাবল সেঞ্চুরি। এরপর ৯ উইকেটে ৪৫৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে খুলনা।
খুলনার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে প্রথম স্তরের এই ম্যাচে অবশ্য ইমরুলের ব্যাটিং ছাড়া আগ্রহের ছিল না কিছুই। বৃষ্টিতে প্রথম দিন নষ্ট হওয়ার পর অনুমিতভাবেই ড্র হয়েছে ম্যাচ। খুলনার ইনিংস ছেড়ে দেওয়ার পর মাইশুকুর রহমানের উইকেট হারিয়ে ৩৩ রান তোলে রংপুর। এরপরই দুদল মেনে নেয় ড্র।
Comments