মানবতাবিরোধী অপরাধে একই পরিবারের ৩ জনসহ ৫ জনের মৃতুদণ্ড

মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধার একই পরিবারের তিনজনসহ পাঁচজনকে মৃতুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
১৫ অক্টোবর ২০১৯, মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধার পাঁচজনকে মৃতুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায় ঘোষণার পর মামলার প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ছবি: তুহীন শুভ্র অধিকারী

মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধার একই পরিবারের তিনজনসহ পাঁচজনকে মৃতুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আজ (১৫ অক্টোবর) সকালে বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণা করেন।

আসামিরা হলেন- রাজাকার কমান্ডার আবদুল জব্বার (৮৬), তার দুই ছেলে- মো. জাছিজার রহমান খোকা (৬৪) ও মো. আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডল (৬২), মো. মমতাজ আলী বেপারি মমতাজ (৬৮) এবং মো. রঞ্জু মিয়া।

তাদের মধ্যে শুধু রঞ্জু মিয়া কারাগারে রয়েছেন এবং বাকিরা পলাতক।

আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে হত্যা-গণহত্যা, ধর্ষণ, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট-অগ্নিসংযোগের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে বাসসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা গাইবান্ধা সদরের নান্দিদা ও ফুলবাড়ি গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা এবং সবাই জামায়াতের সক্রিয় কর্মী। আসামিদের মধ্যে মো. আবদুল জব্বার, মো. জাছিজার রহমান খোকা ও মো. আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডল ১৯৭১ সালের আগে থেকেই জামায়াতের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। জব্বার ও খোকা মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৯৭২ সালে গ্রেপ্তার হলেও তাদের কোনো বিচার হয়নি।

খোকার বর্তমান ঠিকানা রাজধানীর কাফরুল থানার উত্তর ইব্রাহিমপুর। তিনি ১৯৭৫ সালে পুলিশের চাকরিতে যোগ দিয়ে ২০১৪ সালে অবসর নেন। মো. মমতাজ আলী বেপারি মমতাজ ১৯৭৪ সালে কৃষি বিভাগে চাকরিতে যোগ দিয়ে ২০১২ সালে অবসর নেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago