সিরিয়া নিয়ে ট্রাম্পের ভুল টুইট

donald trump
ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: ফাইল ফটো

তুরস্কের সীমান্ত-সংলগ্ন সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে যে টুইট করেছেন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই টুইটে কিছু ভুল তথ্য রয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর এক টুইটে ট্রাম্প বলেছেন, “অনেক বছর আগে বলা হয়েছিলো যে সিরিয়াতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৩০ দিন থাকবে। আমরা সেখানে থেকেছি এবং কোনো দৃশ্যমান লক্ষ্য ছাড়াই লড়াইয়ের গভীরে জড়িয়ে গিয়েছি। আমি যখন ওয়াশিংটনে আসি তখন আইএস সেই অঞ্চলে বেশ দাপট দেখাচ্ছিলো। আমরা দ্রুত তাদের খেলাফতকে শতভাগ পরাজিত করি।”

ট্রাম্পের এমন টুইটের পর বেশ সমালোচনা সৃষ্টি হয়। কেননা, টুইটটিতে তিনি দুটি ভুল তথ্য দিয়েছেন।

সম্প্রতি, ফ্যাক্টচেকডটঅর্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, “সিরিয়াতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৩০ দিন থাকবে” এমন কথা কখনোই বলা হয়নি। এছাড়াও, “আমরা দ্রুত তাদের খেলাফতকে শতভাগ পরাজিত করি” দাবিটিও ভুল।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০১৫ সালে হোয়াইট হাউজে যখন বারাক ওবামা ছিলেন তখন সিরিয়াতে বিশেষ সেনা পাঠানোর ঘোষণা প্রথম দেওয়া হয়। সেসময় তৎকালীন প্রেসসচিব জোশ আরনেস্ট সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “মার্কিন সেনাদের সেখান থেকে কবে ফিরিয়ে আনা হবে সে বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ আমার জানা নেই।”



 

টুইট করার দুদিন পর ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে এক মন্তব্যে সে কথাই পুনর্ব্যক্ত করেন। তখন তার টুইটার বার্তাটিতে উল্লেখ করা “৩০ দিন” নিয়ে প্রশ্ন উঠে।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দাভিস সেন্টার ফর রাশান অ্যান্ড ইউরেশিয়ান স্টাডিজের একজন সহযোগী ভেরা মিরোনোভা সংবাদমাধ্যম ফ্যাক্টচেকডটঅর্গকে বলেন, এটি “একেবারে অদ্ভুত” একটি দাবি। তার মতে, ৩০ দিনে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন করার কথা কোনো মার্কিন প্রশাসনই প্রত্যাশা করে না।

ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক একজন গবেষক মাইকেল ই. ও’হ্যানলন বলেন, “সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের ‘৩০ দিনের’ জন্যে পাঠানো হচ্ছে এমন সংবাদ কখনোই শুনিনি।”

স্মিথ কলেজের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক কর্মসূচির পরিচালক স্টেভেন হেইডেমান মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন’কে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আগের প্রশাসন বা বর্তমান প্রশাসনের কেউই সিরিয়ায় মার্কিন অভিযানের বিষয়ে কোনো সময়সীমা বেঁধে দেয়নি।

একইভাবে, টুইটার বার্তায় আইএস “খেলাফতকে শতভাগ পরাজিত” করার যে দাবি মার্কিন রাষ্ট্রপতি করেছেন সেটিও ভুল বলে প্রমাণিত হচ্ছে বলে ফ্যাক্টচেকডটঅর্গের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

JnU second campus: Project stalled amid bureaucratic hurdles

The construction of Jagannath University’s long-awaited second campus in Keraniganj has stalled due to bureaucratic delays.

3h ago