‘প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শিশু তুহিনকে হত্যা করে বাবা-চাচা’

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে পাঁচ বছরের শিশু তুহিন হত্যার ঘটনায় তার চাচা ও চাচাতো ভাই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পুলিশ জানায়, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজেরাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে তারা স্বীকার করেছেন।
dead_body.jpg
ছবি: স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে পাঁচ বছরের শিশু তুহিন হত্যার ঘটনায় তার চাচা ও চাচাতো ভাই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পুলিশ জানায়, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজেরাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে তারা স্বীকার করেছেন।

সুনামগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, তুহিনের চাচা নাসির মিয়া ও তার ছেলে শাহরিয়ার আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তারা বলেন, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই তারা এই হত্যাকাণ্ডের ছক কষেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়ার পর তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ খালেদ মিয়া।

জবানবন্দির বরাতে ভারপ্রাপ্ত এসপি বলেন, রোববার মধ্যরাতে তুহিনকে কোলে করে ঘরের বাইরে নিয়ে আসেন বাবা আব্দুল বাছির। এরপর নিজের ভাই নাসির ও ভাইপো শাহরিয়ারের সঙ্গে মিলে ছেলেকে জবাই করেন বাছির। হত্যার পর তুহিনের কান ও লিঙ্গ কেটে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন তারা। এরপর দুটি ছুরিতে প্রতিপক্ষের দুজনের নাম লিখে তুহিনের পেটে গেঁথে দেন।

তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা আব্দুল মুসব্বির ও প্রতিবেশী জমশেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তুহিনের মায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। দিরাই থানায় করা মামলায় অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করেছিলেন তিনি।

সোমবার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রাম থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তুহিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ক্ষতবিক্ষত তুহিনের পেটে দুটি ধারালো ছুরি বিদ্ধ ছিল। তার গলা, কান ও লিঙ্গ কাটা ছিল। তুহিনের পেটে বিদ্ধ ছুরিতে ওই গ্রামের দুজনের নাম লেখা ছিল।

আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ৫ বছরের শিশুকে বীভৎসভাবে হত্যা

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago