পারফরম্যান্সে তারকাখ্যাতির প্রভাব পড়তে দিবেন না সাদ
প্রচণ্ড মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও অল্প বয়সে তারকা বনে খ্যাতির জোয়ারে গা ভাসিয়ে পা হড়কেছেন এমন উদাহরণ ফুটবল বিশ্বে ভুরিভুরি। হঠাৎ কোন চোখ ধাঁধাঁনো সাফল্যে ঝলসে যায় দৃষ্টি। আর তার ফলাফল হিসেবে ঘটে নানা অঘটন। তারকাখ্যাতি জুটলে সঙ্গে জোটে খ্যাতির বিড়ম্বনাও। সেটা সামলে রাখতে পারলেই হওয়া যায় বড় তারকা।
আগের দিন ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক হেডে গোল করে রাতারাতি নায়ক বনে গেছেন সাদ উদ্দিন। সামাজিক মাধ্যমে তাকে নিয়েই মাতামাতি। সমর্থকরা নিজেদের ফেসবুক কিংবা টুইটারে সাদের ছবি দিচ্ছেন প্রোফাইলে। ঢাকায় পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই ভক্ত সমর্থকরা ছুটে এসেছেন তার সঙ্গে ছবি তুলতে। কেউ কেউ ফুলের তোড়া উপহার নিয়ে এসেছেন। তাই প্রশ্ন থেকেই হুট করে তারকা বনে যাওয়া এ তরুণ নিজেকে সামলে রাখতে পারবেন তো?
এমন প্রশ্নে সাদের সোজা সাপ্টা উত্তর, তারকা খ্যাতির বন্যায় গা ভাসাবেন না তিনি, 'দল জিতলে সবাই একটু... এসব আসলে মাঠে কোন প্রভাব পড়বে না।'
মূলত স্ট্রাইকার সাদ। কিন্তু এবার ঘরোয়া ফুটবলে ঢাকা আবাহনীর হয়ে খেলেছেন রক্ষণভাগে। আবার জাতীয় দলে জেমি ডের অধীনে উইংয়ে খেলেছেন তিনি। তবে যে পজিশনেই খেলেন না সাদ, মুখিয়ে থাকেন দলের জন্য কিছু করতে। ভারতের বিপক্ষে মাঠে নেমেই এমন কিছুই ভাবছিলেন এ তরুণ, 'যখন মাঠে নেমেছিলাম তখন চিন্তা করেছিলাম গোল করার... সুযোগ এসেছিল এটা কাজে লাগিয়েছি। আমি খুব খুশি।'
ম্যাচের ৪২তম মিনিটে কলকাতার সল্ট লেক স্টেডিয়াম স্তব্ধ করে দিয়েছিলেন সাদ। জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি-কিকে গোলকিপার গুরপ্রিত সিং সান্ধু পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে ফ্লাইট মিস করলে ফাঁকায় হেড দেওয়ার সুযোগ পেয়ে যান তিনি। দারুণ এক হেডে বল জালে জড়াতে কোন ভুল হয়নি তার। তার এ গোলে প্রায় জয় পেয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ৮৮তম মিনিটে আদিল খানে গোলে ড্র মানতে হয় তাদের।
তবে জয় না পেলেও এমন পারফরম্যান্সে দেশের ফুটবল এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন এ তরুণ, 'দলের জন্য খুব ভালো হয়েছে। আত্মবিশ্বাস বাড়বে। আমরা এখন ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করব। আমাদের কোচ যে নির্দেশনা দিবে সে অনুযায়ী কাজ করতে পারলে সামনে আরও ভালো কিছু করতে পারব। হ্যাঁ অবশ্যই ফুটবল অনেক এগিয়ে যাবে। সবাই অনেক ভালো করছে, এটা ধরে রাখলে নিতে অনেক সাহায্য করবে।'
Comments