পুরো কৃতিত্ব খেলোয়াড়দের দিলেন বাংলাদেশ কোচ

বিমানবন্দরে কোচ জেমি ডেকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দেন এক সমর্থক। ছবি: ফিরোজ আহমেদ।

জয় হয়তো মিলেনি। কিন্তু শক্তি-সামর্থ্যে এগিয়ে থাকা ভারতকে তাদেরই মাটিতে রুখে দেওয়া চাট্টি খানি কথা নয়। এ ড্র তো অনেকটা জয়ের সমানই। আর বাংলাদেশ দলের এমন পারফরম্যান্সের মূল কারিগরই কোচ জেমি ডে। কিন্তু এ কৃতিত্ব নিজে নিচ্ছেন না। পুরোটাই দলের খেলোয়াড়দেরকে দিলেন এ ইংলিশ কোচ।

গত পাঁচ বছরে ভারত উন্নতি করেছে অভাবনীয়। এর আগে শেষবার যখন ভারতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ, তখন প্রতিবেশী দেশটি ছিল র‍্যাংকিংয়ের ১৭১ নম্বরে। বর্তমানে ১০৪ নম্বর দল। বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে ৮৩ ধাপ। এমন দলের বিপক্ষে ১-১ গোলে সমতায় সন্তুষ্ট সবাই। যদিও আক্ষেপ রয়েছে। কিন্তু দেশের ফুটবলে সুদিন ফেরার ইঙ্গিতে দারুণ খুশি ভক্ত-সমর্থকরা।

বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকায় পা রাখে বাংলাদেশ ফুটবল দল। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কোচ জেমি। সেখানেই কৃতিত্ব শিষ্যদের দিলেন তিনি, 'আমার মনে হয় আমরা খুব ভালো খেলেছি। সব কৃতিত্ব ছেলেদের। তারা খেলার পরিকল্পনা কাজে লাগিয়েছে। তবে আমরা জিততে পারিনি বলে হতাশ। ছেলেরা দুর্দান্ত খেলেছে।'

শুধু তাই নয়, ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের লড়াইকে নিজের দেখা সেরা বলে জানালেন জেমি, 'দেশের বাইরে হাজারো দর্শকদের সামনে ছেলেরা নিজেদের ভিন্ন লেভেল দেখিয়েছে। আমরা শেষ মুহূর্তে একটি গোল খেয়েছি। আমরা মতে, এটা বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের সেরা পারফরম্যান্স। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তারা দুর্দান্ত ছিল। প্রত্যেকেই নিজেদের কাজটা করেছে, কঠিন পরিশ্রম করেছে। তারা অনেক করেছে।'

আগের দিন কলকাতার সল্ট লেকে ভারতের বিপক্ষে প্রথমার্ধে সাদ উদ্দিনের দেওয়া গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। সে গোলের লিড তারা ধরে রেখেছিল ৮৮ মিনিট পর্যন্ত। কিন্তু এরপর একটি সেট পিস থেকে গোল আদায় করে নেয় ভারত। ফলে ড্র মেনেই মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে। কিন্তু দারুণ সুযোগ ছিল জয়ের। বেশ কিছু সহজ সুযোগ ফরোয়ার্ডরা মিস না করলে হয়তো বড় জয়ও মিলতে পারতো। তাই ঘুরে ফিরে আসছে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতা নিয়ে।

কিন্তু নিজের শিষ্যদের আগলে রাখলেন কোচ, 'আমরা কিছু সুযোগ পেয়েছি, ভারতও কিছু সুযোগ পেয়েছে... আমার কাছে মনে হয় না ফিনিশিংয়ে কোন ঘাটতি ছিল। সবাই নিজেদের কাজটা করেছে। অবশ্যই আমরা হতাশ দ্বিতীয় গোল না আসার জন্য। যদি পুরো ম্যাচটা দেখেন, দেখবেন আমরা খুব ভালো করেছি।'

নিতান্ত ভাগ্য সঙ্গে ছিল না বলেই জয়বঞ্চিত হয়েছে বলে মনে করেন এ ইংলিশ, 'আমাদের অনেক সুযোগ ছিল। দ্বিতীয়ত একটি গোল তো গোললাইন থেকে ফেরায়, হয়তো তখন ম্যাচ শেষ হয়ে যেত তবে তারা ভালোভাবে রক্ষণ সামলেছে। আমরাও ভালো রক্ষণভাগ আগলেছি। আমরা একটি সেট পিস থেকে গোল খেয়েছি, শুধু ভাগ্যটা খারাপ ছিল বলেই। শেষ চার পাঁচটা মিনিট আটকাতে পারলাম না।'

Comments

The Daily Star  | English

JnU students vow to stay on streets until demands met

Jagannath University (JnU) students tonight declared that they would not leave the streets until their three-point demand is fulfilled

3h ago