তিন বছর পর আল-আমিন, সানিকে যে কারণে ফেরানো হলো

Arafat Sunny & Al-Amin Hossain

ভারতে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছিলেন দুজনই। এরপর দুজনের পথচলা হয়েছে ভিন্ন। তবে মিল ছিল একটা জায়গায়। এরপর আল-আমিন হোসেন ও আরাফাত সানির আর চাপানো হয়নি বাংলাদেশ দলের জার্সি। এমনকি সব রকমের আলোচনা থেকেই বাইরে চলে যাচ্ছিলেন তারা। তিন বছর পর আরেকটি ভারত যাত্রার আগে এক সঙ্গেই ফিরলেন তারা। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ব্যাখ্যা করেছেন এই দুজনকে ফেরানোর কারণ।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বোলিং অ্যাকশন অবৈধ হওয়ায় খেলার বাইরে চলে যান সানি। অ্যাকশন শুধরে ফেরার পর ধার কমে যায় বোলিংয়ের। এর মধ্যে ব্যক্তিগত ঝামেলায় জড়িয়ে যেতে হয় কারাগারেও। সানি ধীরে ধীরেই হিসাবের বাইরে চলে যাচ্ছিলেন।

কিন্তু সাদা বলে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে আর কোনো বাঁহাতি স্পিনার দলে থিতু হতে না পারায় সানির শরণ নিলেন নির্বাচকরা।

আল-আমিন টি-টোয়েন্টিতে বরাবরই বেশ কার্যকর। অন্য পেসারদের তুলনায় ফিটনেসও তার জুতসই। কিন্তু কানাঘুষা আছে নিয়ম-নীতির ব্যাপারে দায়সারা ভাবই তাকে সরিয়ে দেয় কক্ষপথ থেকে। জাতীয় দলের বাইরে ছিটকে পড়ার পর ফেরার মতো আহামরি কিছু করতেও পারছিলেন না। বিসিবির কোনো ধাপেই আর বিবেচিত হচ্ছিলেন না।

এরকম দুজন হুট করেই ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ডাক পেয়েছেন। কেন তাদের ডেকে পাঠানো, দ্য ডেইলি স্টারের কাছে তার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন প্রধান নির্বাচক, টি-টোয়েন্টিই তো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জায়গায়। সামনে বিশ্বকাপ। অনেককে আমাদের বাজিয়ে দেখতে হচ্ছে। এই দুজনকে ফেরানো হয়েছে অভিজ্ঞতা বিবেচনায়। ভারতে ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আল-আমিন খুব ভালো বল করেছে। সম্প্রতি জাতীয় লিগে, ঘরোয়া লিগে সে ভালো খেলছে। আমরা তার অভিজ্ঞতা ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ একটি সফরে কাজে লাগাতে চাই।’

মাঝে নাজমুল ইসলাম অপুকে দিয়ে সাদা বলে চেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু তিনি বিবর্ণ হয়েছেন দ্রুতই। টেস্টে নিয়মিত মুখ তাইজুল ইসলামকেও খেলানো হয়েছে টি-টোয়েন্টি। তাতে খুব সুবিধা হয়নি। সে চিন্তা থেকে সরে এসে সানির দিকে চোখ ফেরানোর কারণ তার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স, ‘আরাফাত সানি গত বিপিএলে ভালো বল করেছে। জাতীয় লিগে খুব ভালো করেছে প্রথম রাউন্ডে (এক ইনিংসে ৬ উইকেট)। সে অভিজ্ঞ। ভারতে তার সাফল্য আছে। তাই তাকে ফেরানো হয়েছে।’

২৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে আল-আমিনের উইকেট ৩৯টি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সেরা পাঁচ উইকেট শিকারির একজন তিনি। পেসারদের মধ্যে আছেন মাশরাফি বিন মর্তুজার পরেই। ১৫.১৭ গড়ে উইকেট নিলেও ৭.৪৬ ইকোনমি বলছে মাঝে মাঝে বেশ খরুচেও তিনি। সানি এ পর্যন্ত ১০টি টি-টোয়েন্টি খেলে ১৯. ১৭ গড় আর ৭. ৪১ ইকোনমিতে পেয়েছেন ১২ উইকেট।

Comments

The Daily Star  | English

ICT investigators submit report against Hasina, 2 others

The charges stem from the violent crackdown during the July 2024 mass uprising

1h ago