রাজ্জাক, আল-আমিনের তোপে জয় দেখছে খুলনা
মাত্র ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি নুরুল হাসান সোহান। কিন্তু তার প্রতিরোধেই প্রথম ইনিংসে কাঙ্ক্ষিত লিড পায় খুলনা বিভাগ। এরপর রাজশাহীর দ্বিতীয় ইনিংস চেপে ধরে খুলনার শক্তিশালী বোলিং লাইনআপ। নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম প্রতিরোধ গড়লেও তা ভেঙে খুলনাকেই জেতার দিকে নিয়ে গেছেন পেসার আল-আমিন হোসেন ও অভিজ্ঞ স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক।
খুলনায় প্রথম স্তরের ম্যাচে একদিনেই উইকেট পড়েছে ১৫টি। হয়েছে জম্পেশ লড়াই। শেষ দিনে অপেক্ষা করছেন নিশ্চিত ফলাফলের।
রাজশাহীর ২৬১ রানের জবাবে সোহানের অপরাজিত ৯৭ রানে ৩০৯ রান করে খুলনা। ৪৮ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৭০ রানে গুটিয়ে যায় রাজশাহী। মাত্র ১৭ রানে ৪ উইকেট নেন আল-আমিন, রাজ্জাক পান ৬২ রানে ৪ উইকেট। ৮ ওভার বল করে মোস্তাফিজ নেন ১৮ রানে ২ উইকেট।
১২৩ রানের লক্ষ্যে নেমে শেষ বিকেলে এনামুল হক বিজয়ের উইকেট হারিয়ে ১৫ রান করেছে খুলনা। ১১ রানে ব্যাট করা ইমরুলের সঙ্গী রানের খাতা না খোলা সৌম্য।
আগের দিনের ৬ উইকেটে ২২৭ রান নিয়ে নামা খুলনা দিনের শুরুতেই হারায় রাজ্জাককে। রুবেল হোসেন পান ডাক। এরপর মোস্তাফিজ আর আল-আমিনকে নিয়ে দলকে লিড পাইয়ে দেন সোহান। সঙ্গীর অভাবেই পাওয়া হয়নি তার সেঞ্চুরি।
৪৮ রানের লিড নিয়ে তেতে উঠেন খুলনার বোলাররা। প্রথম ওভারেই মিজানুর রহমানকে আউট করেন মোস্তাফিজ। ফরহাদ হোসেন, জুনায়েদ সিদ্দিকীকে ফিরিয়ে জোড়া আঘাত হানেন আল-আমিন। এরপর শান্তর সঙ্গে গড়ে উঠে মুশফিকের জুটি। ৮৪ রানের জুটির পর ৫৭ করে রাজ্জাকের স্পিনে কাবু হন শান্ত।
৪৪ রান করা মুশফিকও শিকার রাজ্জাকের। তাকে মিরাজের ক্যাচ বানিয়ে বড় আঘাত দেন অভিজ্ঞ স্পিনার। এদিন রাজশাহীর টেল এন্ডার থেকেও আসেনি কোন প্রতিরোধ। আল-আমিন, রাজ্জাক আর মোস্তাফিজ মিলে ছেঁটে ফেলেন বাকিটা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রাজশাহী ১ম ইনিংস: ২৬১
খুলনা ১ম ইনিংস: ১০৮.৩ ওভারে ৩০৯ (সোহান ৯৭; শফিউল ৩/৫৫)
রাজশাহী ২য় ইনিংস: ৬০ ওভারে ১৭০ (শান্ত ৫৭, মুশফিক ৪৪, ; আল-আমিন ৪/১৭, রাজ্জাক ৪/৬২)
খুলনা ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ১২৩)৩ ওভারে ১৫/১ (এনামুল ৪, সৌম্য ০*, ইমরুল ১১*; শফিউল ১/১১)
Comments