আশরাফুল, নাফীসের ব্যাটে ম্যাচ বাঁচালো বরিশাল
আগের দিন বৃষ্টিতে অনেকখানি সময় নষ্ট হওয়ায় জেতার পথটা কঠিন হয়ে পড়েছিল চট্টগ্রামের। শেষ দিনে নেমে দ্রুত কিছু রান তোলে ইনিংস ছেড়ে দেওয়ার পর চেষ্টা চালিয়েছে বরিশালকে গুটিয়ে দিতে। নাঈম হাসানের তোপে সে চেষ্টায় অনেক দূর এগিয়েও গিয়েছিল তারা। তবে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ আশরাফুল আর শাহরিয়ার নাফিসের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত বেঁচে গেছে বরিশাল।
ফতুল্লায় দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে বরিশালকে ৩৩৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল চট্টগ্রাম। দুই সেশনে ওই রান তোলার অসম্ভব পথের কথা কেউ ভাবেইনি। তবে শেষ দিনের উইকেটে দুই সেশনে অলআউট হতেই পারত কোন দল। সেরকম পরিস্থিতির শঙ্কাও জেগেছিল এক সময়। কিন্তু আশরাফুলের ৬০ আর নাফীসের ৪২ রানে বরিশাল ৭ উইকেটে ১৭৪ রান তুলে দিন পার করে দিয়েছে।
আগের দিনের ১ উইকেটে ৫০ রান নিয়ে নেমে এদিন ৬ উইকেটে ১৯৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে চট্টগ্রাম। ওপেনার পিনাক ঘোষ করেন ৫৪। মাইদুল ইসলাম অঙ্কের ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রান।
আগের রাউন্ডে রান না পাওয়া অধিনায়ক মুমিনুল হক রানে ফেরেননি এই ম্যাচেও। এবার থিতু হয়ে ৩০ রানে খুইয়েছেন উইকেট।
চট্টগ্রাম ইনিংস ছেড়ে দেওয়ার পর বরিশালের সামনে সহজ সুযোগ। কোনভাবে দুই সেশন টিকে থাকা। তাতে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় তারা। আগের ইনিংসে রান পাওয়া রাফসান মাহমুদ নাঈম হাসানের বলে কোন রান না করেই ক্যাচ তুলে ফেরেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতেই খেলাটা ধরে ফেলেন আশরাফুল-নাফীস।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের পুরনো দুই কাণ্ডারি গড়েন শতরানের জুটি। নাফীস রানের মধ্যে থাকলেও এবারের লিগে এই প্রথম রানের দেখা পান আশরাফুল। ১০৮ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৬০ করে মাসুম খান টুটুলের বলে ফেরেন আশরাফুল। ভাঙে দুজনের ১১৩ রানের জুটি। নাফীস খেলছিলেন আরও স্থিতধী। আশরাফুলের পরই তিনি হারান ধৈর্য। ১৩১ বলে তার ৪২ রানের ইনিংসটি শেষ হয়েছে নাঈমের বলেই।
এরপর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে বরিশাল। ১২৭ রানে হারিয়ে বসে ৬ উইকেটে। জেগে উঠে হারের শঙ্কা। শামসুল ইসলাম অনিককে নিয়ে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত তা দূর করেন। ৫২ বলে ৩৫ রান করা মোসাদ্দেকও শিকার নাঈমের। তবে ততক্ষণে দিনের বাকি নেই আর কিছু।
Comments