বিসিবিও মানছে সাকিবদের দাবিগুলো যৌক্তিক, তবে...

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

হঠাৎ করেই দেশের ক্রিকেটাঙ্গন বেশ উত্তপ্ত। অনির্দিষ্ট কালের জন্য সব ধরণের ক্রিকেট বয়কট করেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তুলে ধরেছেন ১১টি দাবি। তাতে উত্তাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। আর ক্রিকেটারদের উত্থাপিত দাবির সবগুলোকেই যৌক্তিক মনে করেছে বিসিবি। তবে তা উপস্থাপনের পদ্ধতি পছন্দ হয়নি তাদের। ডেইলি স্টারকে এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমী মাঠে সোমবার বিকেল ৩টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে ১১ দফা দাবির কথা জানান সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহসহ দেশের প্রায় সকল খেলোয়াড়রা। বেতন ভাতা বাড়ানো থেকে নানা ধরণের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর দাবি তুলেছেন তারা। শুধু নিজেদের জন্য নয়, তাদের দাবীতে রয়েছে মাঠকর্মী, আম্পায়ার হতে শুরু করে ফিজিও ও ট্রেইনারদের বেতন বাড়ানোও।

কিন্তু দাবীগুলো বিসিবিকে না জানিয়ে সরাসরি মিডিয়াতে জানানোয় বেশ অবাক হয়েছেন জালাল ইউনুস, 'আজকে ওরা যে ১১টা দাবি করল, এটা আমাদের কাছে আশ্চর্যজনক। আশ্চর্যজনক এ জন্য যে, ওদের যে দাবী দাওয়া আছে তা যুক্তিসঙ্গত। এমন কিছু না যে, মানা যাবে না। এর মধ্যে বেশির ভাগই বাস্তবায়ন হচ্ছে বা হবে। যেমন বিপিএল যেটা আগামী বছর যেটা হবে সেটা যেন আগের মতোই হবে। ফ্র্যাঞ্চাইজি আদলে এটা তো আমরা আগেই বলে দিয়েছি। বাকী যেগুলো আছে সবই পূরণ করার মতো। বিস্ময়কর হচ্ছে তারা আমাদের কাছে কখনো এসে এ দাবি দিয়ে যায়নি। সরাসরি মিডিয়ায় গিয়েছে সঙ্গে আল্টিমেটামও দিয়েছে।'

'এটা খুবই ধাক্কার মতো। আমাদের সঙ্গে যদি আলোচনা করত। আমরা শুনেছি মিডিয়ার কাছ থেকে। তারা কিন্তু কোন দাবী আমাদের কাছে জানায়নি। আমাদের কাছে কোন চিঠি দেয়নি। তারা দাবি জানালে আমরা এটা দেখতাম, কথা বলতাম। যদি আলোচনা ফলপ্রসূ না হতো তাহলে তারা এ প্রক্রিয়ায় যেতে পারতো। কিন্তু তারা কি করল সেটা না করে আগামীকাল থেকে সব ক্রিকেটের কার্যক্রম বন্ধ করে দিল।' - যোগ করে আরও বলেন জালাল ইউনুস।

ক্রিকেটারদের এ আন্দোলনে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজছে বিসিবি। কেউ পেছন থেকে দেশের ক্রিকেটের ক্ষতি করার জন্য এমনটা করছে কি না, বিসিবি তা তলিয়ে দেখবে বলে জানালেন মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান, 'যে আল্টিমেটাম দিল, যেটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য ভীতিকর। দেশের ক্রিকেটকে অস্থিতিশীল করার জন্য কেউ করল কি না… হতে পারে তাদের কেউ ব্যবহার করছে। ব্যবহার না করলেও অস্থিতিশীল করার জন্য করতেই পারে। এটা আমাদের চিন্তাভাবনায় আছে। আমরা এটা খতিয়ে দেখব।'

নিঃসন্দেহে বিষয়টি বেশ দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে বিসিবিকে। এ নিয়ে খুব শীগগিরই আলোচনায় বসবেন বলেও জানিয়েছেন জালাল ইউনুস। তবে এ মুহূর্তে অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান সহ বেশ কয়েকজন বোর্ড পরিচালক ঢাকার বাইরে থাকায় সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু দেশের ক্রিকেটের মঙ্গলের জন্য বিসিবি খুব দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের পথে হাঁটবে জানিয়েছেন তিনি।

তবে মিডিয়াতে না জানিয়ে বিসিবিতে জানালে এর সমাধান এমনি হয়ে যেত বলে মনে করেন জালাল। অন্যদিকে খেলোয়াড়দের দাবি, প্রিমিয়ার লিগের প্লেয়ার্স ড্রাফট বন্ধ হতে শুরু করে প্রায় প্রতিটি ইস্যুতে নানা ভাবে কথা বলেছেন। প্রতিবারই নানা ভাবে আশ্বাস দিলেও কাজের কাজটি হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই ধর্মঘটে গিয়েছেন তারা।

Comments

The Daily Star  | English

Govt employees to get dearness allowance

The announcement may come in next budget

51m ago