‘খেলোয়াড়রা না খেললে খেলবে না, আমাদের কিছু করার নেই’

জাতীয় ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবি স্পষ্ট করে মানার ঘোষণা না দিলে তারা যদি ধর্মঘট প্রত্যাহার না করেন তাহলে কি হবে? এমন প্রশ্ন নিজেদের কঠোর অবস্থান জানিয়ে দিলেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। ক্রিকেটারদের খেলায় ফেরানোর কি উদ্যোগ নেবেন তাও স্পষ্ট করেননি তিনি। বরং বল ক্রিকেটারদের দিকে ঠেলে দিয়ে নিজেদের ‘দুয়ার’ খোলা রাখার কথা বললেন তিনি।

জাতীয় ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবি স্পষ্ট করে মানার ঘোষণা না দিলে তারা যদি ধর্মঘট প্রত্যাহার না করেন তাহলে কি হবে? এমন প্রশ্ন নিজেদের কঠোর অবস্থান জানিয়ে দিলেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। ক্রিকেটারদের খেলায় ফেরানোর কি উদ্যোগ নেবেন তাও স্পষ্ট করেননি তিনি। বরং বল ক্রিকেটারদের দিকে ঠেলে দিয়ে নিজেদের ‘দুয়ার’ খোলা রাখার কথা বললেন তিনি।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই ক্রিকেটারদের ধর্মঘট নিয়ে সরগরম ছিল মিরপুরের বিসিবি কার্যালয়। দুপুরে কয়েকজন পরিচালক নিয়ে অনির্ধারিত সভায় বসেন বোর্ড প্রধান। সভা থেকে বেরিয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেও তার কাছ থেকে আসেনি কোন স্পষ্ট ঘোষণা। বরং ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের পেছনে বাইরের কারো ইন্ধন থাকার কথা জানিয়ে নিজেদের কঠোর অবস্থান জানান দেন বিসিবি প্রধান।

উত্থাপিত দাবিগুলো না মানলে ক্রিকেটাররা কোন ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রমে যোগ দেবেন না, যদি তা-ই ঘটে তাহলে বিসিবির অবস্থান কি? সামনেই তো গুরুত্বপূর্ণ ভারত সফর। বোর্ড প্রধানের উত্তর, ‘খেলোয়াড়রা না খেললে খেলবে না! আমাদের কিছু করার নেই। ওরা ক্যাম্পে গেলে ভালো, না গেলে যাবে না। ক্রিকেটারদের ব্যবহার করা হচ্ছে। তারা নিজেরাও জানে না। দুই-একজন জানতে পারে। আমার দুয়ার ওদের জন্য খোলা। ওরা যদি আমার কাছে আসে, অবশ্যই কথা হবে। আমি তো কথা বলতেই চাই। আমি আশা করি, ক্যাম্প চলবে, ভারত সফর হবে।।’

তাহলে এই অচলাবস্থা নিরসনে বোর্ডের ভূমিকা কি? নাজমুল বলেন, ‘আমাদের দুয়ার তো খোলা আছে। তারা যে কোন সময় আসলে আমরা বসতে পারি। তবে তাদের তো আমরা ফোনেই পাচ্ছি না। কেউ ফোন ধরে না, ফোন করা হলে কেটে দেয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ধারণা, বেশিরভাগ ক্রিকেটারই ক্রিকেট ভালোবাসে, দেশকে ভালোবাসে। তবে দু-একজন ষড়যন্ত্রে থাকতে পারে।’

বোর্ড প্রধান ক্রিকেটারদের ধর্মঘটে যাওয়ার দিনক্ষণ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন, ‘কখন তারা এটা করল? দুদিন পর ক্যাম্প শুরু হবে। বিদেশি কোচরা আসবে। দল ভারত সফরের মতো গুরুত্বপূর্ণ সফরে যাবে। যে ভারত সফরটা সচরাচর পাওয়া যায় না। অনেকের দাবি ছিল, ভারতে একটা পূর্ণাঙ্গ সফর করার, আমরা সেটা করলাম। এখন তারা ধর্মঘট করছে। যদি খেলা না হয় তাহলে কার লাভ হবে?’

কেবল ভারত সফরই নয়, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়ার কথা জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ড। এই অচলাবস্থার সুরাহা না হলে জাতীয় লিগের কি হবে? বোর্ড প্রধান জানান, ‘না হলে হবে না, খেলা হবে না।’

Comments