নুসরাত হত্যার রায় একটি মাইলফলক: অ্যাটর্নি জেনারেল

বহুল আলোচিত ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় সব আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
Mahbube Alam
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ছবি: সংগৃহীত

বহুল আলোচিত ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় সব আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

তিনি বলেছেন, নিম্ন আদালতের এ রায় একটি মাইল ফলক। আসামিদের মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার জন্য হাইকোর্টে আপিল ও ডেথ রেফারেন্স দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হবে।

আজ (২৪ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টে তার নিজ কার্যালয়ে নুসরাত হত্যা মামলার রায়ের ব্যাপারে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অ্যাটর্নি জেনারেল এসব কথা বলেন।

এর আগে সকাল সোয়া ১১ টার দিকে বহুল আলোচিত নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার ১৬ আসামির প্রত্যেকের ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতনদমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এই রায় ঘোষণা করেন। এছাড়া সব আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামি হলেন- সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সোনাগাজীর পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, হাফেজ আবদুল কাদের, আবছার উদ্দিন, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা, আবদুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মোহাম্মদ শামীম, রুহুল আমীন ও মহিউদ্দিন শাকিল।

নুসরাতকে হত্যার পর প্রায় সাত মাসের মধ্যে বিচার কাজ শেষ হলো। এখন আসামিদের মৃত্যু অনুমোদনের জন্য মামলাটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে পাঠাবেন নিম্ন আদালত।

প্রসঙ্গত, নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়। পরে ৬ এপ্রিল অধ্যক্ষের সহযোগীরা মাদ্রাসার পরীক্ষাকেন্দ্রের ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা তুলে না নেওয়ায় তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে মৃত্যুশয্যায় বলে গেছেন নুসরাত। টানা ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে সে মারা যায়।

নুসরাত হত্যার ঘটনায় ৮ এপ্রিল নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago