মোহনবাগানের কাছে হেরেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনী
খুব বড় ব্যবধানে না হারলে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল না। তাই রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তি যাচাই করে নিলেন কোচ মারুফুল হক। অবশ্য শেষ দিকে জামাল ভূইয়া, আরিফুর রহমান, চিনেডু ম্যাথিউকে নামালেও হার ঠেকাতে পারেনি চট্টগ্রাম আবাহনী। ভারতের দল মোহনবাগান এফসির কাছে ১-০ গোলের ব্যবধানে হেরে গেছে তারা। তবে হারলেও গোল পার্থক্যে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমি-ফাইনালে নাম লিখিয়েছে বন্দরনগরীর দলটি।
গ্রুপ পর্ব শেষে চট্টগ্রাম আবাহনী, মোহনবাগান ও লাওসের ইয়াং এলিফ্যান্টস তিন দলেরই পয়েন্ট হয় সমান ৬ করে। নিয়ম অনুযায়ী গোল পার্থক্যে এগিয়ে থেকে গ্রুপ সেরা হয় চট্টগ্রাম আবাহনী (+৪)। দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত হয় মোহনবাগানের (+২)। অন্যদিকে সমান পয়েন্ট নিয়েও ছিটকে যায় ইয়াং এলিফ্যান্টস। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে টিসি স্পোর্টসকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে শুরু করে আবাহনী। পরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইয়াং এলিফ্যান্টসকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়েছিল তারা।
ঘরের মাঠে এদিন শুরু থেকেই অগোছালো ছিল আবাহনী। মাঝে মধ্যে বিচ্ছিন্ন আক্রমণে গেলেও গোল করার মতো বড় কোন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ফরোয়ার্ড লুকা রতকোভিচ কিছু সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ক্রসবারের ওপর দিয়ে ও পোস্টের বাইরে মেরে তা নষ্ট করেন। ম্যাচের ৬০তম মিনিটে সুহাইরের গোলে পিছিয়ে পড়ে আবাহনী। শেষ দিকে জামাল, ম্যাথিউ ও আরিফুর নামায় আক্রমণের ধার বাড়ে আবাহনীর। কিন্তু গোল না হলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
এর আগে মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসের বিপক্ষে ইয়াং এলিফ্যান্টস ২-১ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে। ফলে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় গতবারের চ্যাম্পিয়নদের। এর আগে চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে ৪-১ গোলে ও মোহনবাগান এফসির কাছে ২-০ ব্যবধানে হেরেছিল দলটি।
Comments