পুলিশে নিয়োগ দেওয়ার নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ২

পুলিশ কনস্টেবলের চাকরি দেওয়ার নামে সাড়ে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে প্রতারক চক্রের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা নিজেদের সাবেক এক মন্ত্রীর ভাই, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে চাকরি প্রত্যাশীদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিলেন।

গতকাল বিকেলে বরিশাল সদর উপজেলা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) আনিসুর রহমান তার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মনোহরদিয়া গ্রামের মৃত সাহাব আলীর ছেলে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার চেলিখলা পশ্চিমপাড়া শাহী জামে মসজিদের ইমাম আব্দুর রহিম (৩৩) এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলার কোনাবাড়ি ইউনিয়নের লালমোন গ্রামের মৃত সুলেমান খাঁর ছেলে ইয়াছিন খাঁ (৪০)।

পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, “ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আবু মুসার ছেলে মো. ইছহাক নামে প্রতারণার শিকার এক চাকরি প্রত্যাশীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

এসপি জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ইয়াছিন খাঁ নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর বেয়াই ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাই খন্দকার বাবর বলে পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে থাকেন। চলতি বছর পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর প্রতারক চক্রের সদস্যরা নবীনগরের ইছহাককে কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন সময়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। ইছহাকের পরিবার প্রতারণার বিষয়টি পরে বুঝতে পেরে তাদের বিরুদ্ধে গত ২১ অক্টোবর নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করে। এরপর নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল চক্রটির পিছু নেয়।

নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মেহেদী হাসান বলেন, “মূলত সরকারের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে মানুষের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করাই তাদের কাজ।”

তাদেরকে আদালতে পাঠিয়ে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
NID cards of Sheikh Hasina and family locked

NIDs of Hasina, 9 family members 'locked'

The NIDs of the 10 listed individuals were locked through an official letter on April 16

1h ago