ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়
শেষ ওভারে অনেকটা জুয়াই খেললেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দিপক চাহারের একটি ওভার বাকী থাকতেও আনলেন অভিষিক্ত শিভাম দুবেকে। প্রথম বলটি ডট করেছিলেন তিনি। কিন্তু পরের বলেই দুই রান নিলে চাপে পড়ে যান এ তরুণ। ফলে পরের বলটি করেন ওয়াইড। দুই দলের স্কোর তখন সমান। পরের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
অবশ্য জয়ের রাস্তাটা আগের ওভারেই গড়ে দিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। শেষ চার বলে টানা চারটি চার মারেন তিনি। ফলে শেষ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৪ রান। আর সে কাজটি সহজেই করেন ব্যাটসম্যানরা। বাংলাদেশ পায় ৭ উইকেটের জয়। নবম ম্যাচে এসে ভারতের বিপক্ষে প্রথম জয় পায় টাইগাররা।
অথচ এদিন ছিলেন না দলের সেরা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। নেই হালের অন্যতম সেরা তারকা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। সাকিবের নিষেধাজ্ঞায় টাল মাটাল ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট। তার উপর দিল্লির অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নেওয়া। সব ছাপিয়ে নিজেদের রাঙিয়ে রাখল মাহমুদউল্লাহর দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ২০ ওভারে ১৪৮/৬ (রোহিত ৯, ধাওয়ান ৪১, রাহুল ১৫, শ্রেয়াস ২২, পান্ত ২৭, শিভাম ১, ক্রুনাল ১৫*, সুন্দর ১৪*; শফিউল ২/৩০, আল-আমিন ০/২৭, মোস্তাফিজ ০/১৫, আমিনুল ২/২২, সৌম্য ০/১৬, আফিফ ১/১১, মোসাদ্দেক ০/৮, মাহমুদউল্লাহ ০/১০)।
বাংলাদেশ: ১৯.৩ ওভারে ১৫৪/৩ (লিটন ৭, নাঈম ২৬, সৌম্য ৩৯, মুশফিক ৬০*, মাহমুদউল্লাহ ১৫; চাহার ১/২৪, সুন্দর ০/২৫, খলিল ১/৩৭, চেহেল ১/২৪, ক্রুনাল ০/৩২, শিভাম ০/৯)।
ফলাফল: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী।
মুশফিকের হাফসেঞ্চুরি
সৌম্য সরকারের সঙ্গে ৬০ রানের দারুণ একটি জুটি গড়ে দলের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। তবে সৌম্যর বিদায়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় টাইগাররা। সে সময় দায়িত্ব পুরোটাই নিজের কাঁধে তুলে দারুণ ব্যাটিং করে যাচ্ছেন। তুলে নিয়েছেন নিজের হাফসেঞ্চুরিও। ৪৬ বলে এসেছে তার অর্ধশত রান।
সৌম্যর বিদায়ে ভাঙল জুটি
লক্ষ্য তাড়ায় দেখে শুনে ভালো ব্যাটিং করছিলেন সৌম্য সরকার। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েছিলেন তিনি। তবে খলিল আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে গেছেন তিনি। জায়গায় দাঁড়িয়ে কাট করতে চেয়েছিলেন। ব্যাটে বলে সংযোগ না হওয়ায় আঘাত হানে স্টাম্পে। ভাঙে ৬০ রানের জুটি। ৩৫ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৯ রান করেছেন সৌম্য।
১৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১১৪ রান। ৩৭ রানে ব্যাট করছেন মুশফিক। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। জিততে হলে শেষ তিন ওভারে করতে হবে ৩৫ রান।
বাংলাদেশের দলীয় শতরান
লক্ষ্য তাড়ায় দেখেশুনে ব্যাট করছে বাংলাদশের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম। দুই জনই উইকেটে দারুণ সেট হয়ে গেছেন। এরমধ্যেই দলীয় শতরান পার করেছেন তারা। ১৫.১ ওভারে (৯১ বল) এসেছে দলের সেঞ্চুরি। একই ওভারে সৌম্য ও মুশফিকের জুটিতেও এসেছে পঞ্চাশ রান।
১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৫ রান। সৌম্য ৩৭ ও মুশফিক ৩০ রানে ব্যাট করছেন।
ফিরে গেলেন নাঈম
ধৈর্য হারিয়ে ফেললেন অভিষিক্ত নাঈম শেখ। উইকেটে দারুণ সেট হয়ে গিয়েছিলেন এ ওপেনার। দারুণ ব্যাটিং করছিলেন। কিন্তু আগের যুজবেন্দ্র চাহালের আগের তিনটি বলে রান নিতে না পেরে গেলেন স্লগ সুইপ করতে। কিন্তু গুগলি বুঝতে পারেননি। ফলে ব্যাটে বলে ঠিকভাবে না হওয়ায় উঠে যায় আকাশে। লংঅনে সে ক্যাচ লুফে নিয়েছেন শেখর ধাওয়ান। ২৮ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৬ রান করেছেন নাঈম।
৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫৪ রান। ১৯ রানে ব্যাট করছেন সৌম্য সরকার। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম।
বাংলাদেশের দলীয় পঞ্চাশ
ইনিংসের প্রথম ওভারে লিটন কুমার দাসের উইকেট হারিয়ে কিছুটা খোলসে ঢুকে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ধীরে ধীরে সে খোলস ভেঙে দারুণ ব্যাট করছেন টাইগাররা। এরমধ্যেই দলীয় অর্ধশত রান পার করেছেন তারা। ৬.৩ ওভারে (৩৯ বলে) এসেছে টাইগারদের দলীয় পঞ্চাশ।
পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের ৪৫ রান
শেষ দুই ওভারে এলো ২৫ রান। তাতেই পাওয়ার প্লেতে সন্তোষজনক স্কোর এলো বাংলাদেশের। ছয় ওভারে টাইগারদের সংগ্রহ ৪৫ রান। এ সময়ে ওপেনার লিটন কুমার দাসের উইকেট হারিয়েছে দলটি।
শুরুতে কিছুটা সেকি থাকলেও ভালো ব্যাটিং করছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ভালো ব্যাটিং করছেন সৌম্য সরকারও। নাঈম ২৫ ও সৌম্য ১২ রানে ব্যাট করছেন।
শুরুতেই লিটনের বিদায়
ঠিক কী করতে গিয়েছিলেন নিজেই বলতে পারবেন না লিটন কুমার দাস। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে আলতো করে খোঁচা দিলেন। ফলে যা হবার তাই হলো। কভার-পয়েন্টে সহজ ক্যাচ লুফে নিলেন লোকেশ রাহুল। বাংলাদেশ হারায় তাদের প্রথম উইকেট। ৪ বলে ৭ রান এসেছে এ ওপেনারের ব্যাট থেকে।
প্রথম ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৯ রান। মোহাম্মদ নাঈম শেখ ১ রানে ব্যাট করছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন সৌম্য সরকার।
দেড়শর নিচে ভারতকে আটকে রেখেছে বাংলাদেশ
শেষ ওভারটা ঠিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেন না আল-আমিন হোসেন। সে ওভারে ১৬ রান গুনলেন এ পেসার। অন্যথায় শুরু থেকেই শুরু থেকেই দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছে টাইগাররা। ফলে ভারতকে সাধ্যের মধ্যেই আটকে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ। দিল্লির ব্যাটিং স্বর্গে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৮ রান তুলেছে স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তরুণ লেগি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। ৩ ওভার বল করে ২২ রান খরচ করে নিয়েছেন ২টি উইকেট। আরেক তরুণ আফিফ হোসেন ছিলেন বেশ কৃপণ। তিন ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে পেয়েছেন একটি উইকেট। দুটি উইকেট নিয়েছেন শফিউল ইসলাম। শেষ ওভারটা ছাড়া ফেরার ম্যাচে দারুণ বোলিং করেছেন আল-আমিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ২০ ওভারে ১৪৮/৬ (রোহিত ৯, ধাওয়ান ৪১, রাহুল ১৫, শ্রেয়াস ২২, পান্ত ২৭, শিভাম ১, ক্রুনাল ১৫*, সুন্দর ১৪*; শফিউল ২/৩০, আল-আমিন ০/২৭, মোস্তাফিজ ০/১৫, আমিনুল ২/২২, সৌম্য ০/১৬, আফিফ ১/১১, মোসাদ্দেক ০/৮, মাহমুদউল্লাহ ০/১০)।
রিশাভকে ফেরালেন শফিউল
১৯তম ওভারের খেলা। স্বাভাবিকভাবেই রানের গতি বাড়াতে চেয়েছিলেন ব্যাটসম্যানরা। তবে তাতে আঘাত হেনেছেন শফিউল ইসলাম। তার বলে ঠিকভাবে ব্যাট সংযোগ করতে পারেননি রিশাভ পান্ত। ফলে লংঅনে মোহাম্মদ নাঈম শেখের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ২৬ বলে ৩টি চারে ২৭ রান করেছেন তিনি।
১৯ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৩২ রান। ক্রুনাল পান্ডিয়া ৮ ও ওয়াসিংটন সুন্দর ৭ রানে ব্যাট করছেন।
শিভামকে ফেরালেন আফিফ
শুরু থেকেই দারুণ বোলিং করছেন তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুব। প্রথম দুই ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ৫। তবে উইকেট মিলেনি। তৃতীয় ওভারে এসে সে শূন্যতা কাটালেন তিনি। নিজের বলে নিজেই দারুণ এক একচ ধরে ধরে ফেরালেন অভিষিক্ত শিভাম দুবেকে। আফিফের বলে কিছুটা আগে ব্যাট চালিয়ে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন এ ব্যাটসম্যান। ৪ বলে ১ রান করেছেন তিনি।
১৬ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১০২ রান। ১৩ রানে ব্যাট করছেন রিশাভ পান্ত। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন ক্রুনাল পান্ডিয়া।
রানআউট হয়ে ফিরলেন শেখর
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে আলতো করে মিডউইকেটে ঠেলে দিয়েছিলেন রিশাভ পান্ত। দুই রান নিতে চেয়েছিলেন শেখর ধাওয়ান। কিন্তু রাজী হননি রিশাভ। কিন্তু ততক্ষণে উইকেটের মাঝে ধাওয়ান। অন্যদিকে বল করেই তড়িৎ গতিতে নিজেই ফিল্ডিং করতে যান বোলার মাহমুদউল্লাহ। অধিনায়কের দারুণ ফিল্ডিংয়ে রানআউট হন সেট ব্যাটসম্যান ধাওয়ান। ৪২ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪১ রান করেছেন এ ওপেনার।
১৫ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৯৫ রান। ৭ রানে ব্যাট করছেন রিশাভ পান্ত। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন অভিষিক্ত শিভাম দুবে।
শ্রেয়াসকে ফিরিয়ে আমিনুলের দ্বিতীয় আঘাত
ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার। উইকেটে নেমেই হাত খুলে ব্যাট করছিলেন তিনি। ১টি চারের সঙ্গে দারুণ ২টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। তবে আরও একটি হাঁকাতে গিয়ে লংঅফে ধরা পড়েছেন অভিষিক্ত মোহাম্মদ নাঈম শেখের হাতে। ১৩ বলে ২২ রান করেছেন এ ব্যাটসম্যান।
১১ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৭৩ রান। ২৬ রানে ব্যাট করছেন ওপেনার শেখর ধাওয়ান। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন রিশাভ পান্ত।
ভারতের দলীয় পঞ্চাশ
বেশ সাবধানী ব্যাটিং করছে ভারত দল। তবে দলীয় হাফসেঞ্চুরি পূরণ হয়েছে তাদের। ৭.৪ ওভারে (৪৬ বল) এসেছে স্বাগতিকদের দলীয় ফিফটি।
বল হাতে নিয়েই রাহুলকে ফেরালেন আমিনুল
পাওয়ার প্লে শেষে তরুণ লেগ-স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। আর অধিনায়কের আস্থার দারুণ প্রতিদান দিয়েছেন এ তরুণ। তৃতীয় বলেই ফিরিয়েছেন লোকেশ রাহুল। অবশ্য অফস্টাম্পের বেশ বাইরের বল দোমনা হয়ে খেলতে গিয়ে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছেন রাহুল। ১৭ বলে ১৫ রান করেছেন তিনি।
৭ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৪৪ রান। ১৩ রানে ব্যাট করছেন ধাওয়ান। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন শ্র্যাস আইয়ার।
পাওয়ার প্লেতে সাবধানী ভারত
ইনিংসের প্রথম বলেই চার মেরে শুরু করেছিলেন বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। সে ওভারেই তাকে ফিরিয়ে পাল্টা আঘাত হেনেছেন শফিউল ইসলাম। এরপর থেকে সাবধানী ব্যাটিং করছে ভারত। পাওয়ার প্লের ছয় ওভার শেষে ১ উইকেটে ৩৫ রান করেছে দলটি।
তবে ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করছেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান শেখর ধাওয়ান ও লোকেশ রাহুল। রাহুল ১৫ ও ধাওয়ান ১১ রানে ব্যাট করছেন।
রোহিতকে ফেরালেন শফিউল
আগের বলেই শফিউল ইসলামকে দারুণ একটি বাউন্ডারি মেরেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ওভারের প্রথম বলেও মেরেছিলেন। তবে এবার পাল্টা আঘাত হেনেছেন শফিউল। দারুণ এক স্লোয়ারে ভারতীয় অধিনায়ককে ফিরিয়েছেন তিনি। এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েছেন। রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু লাভ হয়নি। আম্পায়ার্স কলে টিকে যায় সিদ্ধান্ত।
প্রথম ওভারে রোহিতের উইকেট হারিয়ে ১০ রান তুলেছে ভারত। ২ রানে ব্যাট করছেন শেখর ধাওয়ান। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন লোকেশ রাহুল।
ভারতীয় দলে শিভাম দুবের অভিষেক
বাংলাদেশের মতো ভারতীয় দলেও অভিষেক হয়েছে এক খেলোয়াড়ের। ৮২তম টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় হিসেবে এদিন একাদশে জায়গা নিয়েছেন শিভাম দুবে। বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংটাও দারুণ করেন তিনি। সবমিলিয়ে দলে রয়েছেন তিন জন পেসার। এছাড়া দুই স্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দর ও যুজবেন্দ্র চাহালের সঙ্গে আছেন ক্রুনাল পান্ডিয়া।
ভারতীয় দল
রোহিত শর্মা, শেখর ধাওয়ান, লোকেশ রাহুল, শিভাম দুবে, শ্রেয়াস আইয়ার, রিশাভ পান্ত, ওয়াশিংটন সুন্দর, ক্রুনাল পান্ডিয়া, যুজবেন্দ্র চাহাল, দীপক চাহার ও খলিল আহমেদ।
বাংলাদেশ দলে নাঈম শেখের অভিষেক
৬৭তম টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় হিসেবে বাংলাদেশ দলের ক্যাপ পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। তিন পেসার নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ। তিন বছর পর ফের দলে জায়গা পেয়ে একাদশেও জায়গা পেয়েছেন আল-আমিন হোসেন। সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতেও একাদশে জায়গায় হয়নি অন্য কোন বাঁহাতি স্পিনারের। স্কোয়াডে ছিলেন তাইজুল ইসলাম ও আরাফাত সানি। আমিনুল ইসলাম বিপ্লবই একাদশে একমাত্র বিশেষজ্ঞ স্পিনার।
বাংলাদেশ দল
সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, মোহাম্মদ নাঈম, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আফিফ হোসেন ধ্রুব, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, শফিউল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান ও আল-আমিন হোসেন।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
হালের নতুন সংস্করণ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ১০০০তম ম্যাচে দিল্লিতে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। ঐতিহাসিক এ ম্যাচে টস জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। বেছে নিয়েছেন বোলিং। অর্থাৎ আগে ভারতীয় দলকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ সময় ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।
দিল্লিতে দূষণের মাত্রা চরমে
ভারতের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) মানদণ্ড অনুসারে, ৪০১ থেকে ৫০০ মারাত্মক খারাপ। এই বিপজ্জনক মাত্রাও ছাড়িয়ে দিল্লিতে বায়ু দূষণ গিয়ে পৌঁছেছে একেবারে চরমে। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আভাস থাকলেও এদিন বিকালে একিউআই যা আছে, তাতে চিন্তিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। শহরের কয়েকটি জায়গায় দূষণের মাত্রা সর্বোচ্চ ৯৯৯ পর্যন্ত পৌঁছেছে।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের মানদণ্ড অনুযায়ী, ০ থেকে ৫০ ভালো। ৫১ থেকে ১০০ সন্তোষজনক। ১০১ থেকে ২০০ পরিমিত মানের। ২০১ থেকে ৩০০ খারাপ। ৩০১ থেকে ৪০০ খুব খারাপ। ৪০১ থেকে ৫০০ মারাত্মক খারাপ। কিন্তু বিকালের একিউআই হার মানিয়েছে এই বিপজ্জনক মাত্রাকেও। তবে আশার খবর সন্ধ্যার দিকে কিছুটা কমেছে একিউআইর মাত্রা।
সাকিব ইস্যু থেকে বের হতে চায় বাংলাদেশ
সাকিব আল হাসান না থেকেও যেন অনেকটা জুড়েই থাকছেন বাংলাদেশ-ভারত সিরিজে। সাকিব যে ঘটনায় খেলার বাইরে গেছেন, হাওয়া উত্তপ্ত করতে সেটাই রাখছে মূল ভূমিকা। কোচ রাসেল ডমিঙ্গো কিংবা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ- দুজনকেই বোঝাতে হচ্ছে যে সাকিবকে ছাড়াও সেরাটা দেওয়ার জন্য তারা প্রস্তুত। কিন্তু আনুষ্ঠানিক এসব কথাবার্তার বাইরে তারাও জানেন, সাকিবের এই না থাকার বড় প্রভাব আছেই। প্রথম ম্যাচের আগের দিন অধিনায়ক তাই পুরো বিষয়টা ঘুরিয়ে দিলেন অন্য দিকে।
দুঃসময়ে টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব নেওয়া মাহমুদউল্লাহ দলের সবাইকে এরই মধ্যে দিয়েছেন সেই বার্তাও, ‘সাকিবের ওই সংবাদ বা শেষ কিছু দিনে বাংলাদেশে যা ঘটেছে, আমরা সেখান থেকে সরে এসেছি। দেশে থাকতেই আমরা এই ব্যাপারে কথা বলেছি। এখানে এসে রাসেল (ডমিঙ্গো) কথা বলেছে দলের সবার সঙ্গে, আমি কথা বলেছি। দল হিসেবে আমরা আমাদের কাজটুকু কতটা ভালোভাবে করতে পারি তা নিয়ে কথা বলেছি। বাংলাদেশ দলের জন্য আমরা আমাদের পারফরম্যান্স কতটা ভালো করতে পারি তা নিয়েও কথা হয়েছে। এই দিকটায় সবার মনোনিবেশ করা উচিত। আমার মনে হয়, সবাই ওইভাবেই চিন্তা করছে।’
সাকিব না থাকাতেই বরং আরেকটি দুয়ার খোলার সম্ভাবনা দেখছেন মাহমুদউল্লাহ। তার কাছে সাকিবের ছায়া থেকে বেরিয়ে বড় কিছু করার এই তো সুযোগ, ‘আমি শুধু এটুকু বলতে পারি, আমরা এটাকে কোনো চাপ হিসেবে নিচ্ছি না। আমরা বরং অনুপ্রাণিত যেন ভালো পারফরম্যান্স করতে পারি। কারণ সাকিবের অনুপস্থিতি সবার জন্যই- আমিসহ প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্যই সমান সুযোগ। ওরা যেন সাকিবের জায়গাটা (পূরণ করতে পারে)। আমি জানি, সাকিবের জায়গা পূরণ করা এত সহজ না। কারণ একজন সাকিব একদিনে তৈরি হয়নি। ১০/১১/১২ বছর ধরে ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম করে আসছে। তারপরও আমাদের যতটুকু সামর্থ্য আছে, ওই জায়গাটা যেন পূরণ করতে পারি।’
Comments