আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলতে বিপ্লব-নাঈমরা যেভাবে প্রস্তুত হয়েছেন

দিল্লিতে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পরিণত মস্তিষ্কের ক্রিকেট খেলতে দেখা গেছে বাংলাদেশ দলকে। কেবল সিনিয়ররাই নন, নতুন সদস্যরাও ছিলেন চনমনে। ভারতের মুখোমুখি হতে গেলে সব দলের ক্রিকেটারদেরই একটা বাড়তি চাপ থাকে। কিন্তু সেটাকে ঠেলে সরিয়ে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলেছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, আফিফ হোসেনের মতো তরুণরা, কেড়ে নিয়েছেন নজর। এর পেছনে গেল কয়েক মাসে হাইপারফরম্যান্স ও ‘এ’ দলের হয়ে তাদের প্রচুর ম্যাচ খেলাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
Naim, Biplob And Afif
ছবি: বিসিবি

দিল্লিতে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পরিণত মস্তিষ্কের ক্রিকেট খেলতে দেখা গেছে বাংলাদেশ দলকে। কেবল সিনিয়ররাই নন, নতুন সদস্যরাও ছিলেন চনমনে। ভারতের মুখোমুখি হতে গেলে সব দলের ক্রিকেটারদেরই একটা বাড়তি চাপ থাকে। কিন্তু সেটাকে ঠেলে সরিয়ে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলেছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, আফিফ হোসেনের মতো তরুণরা, কেড়ে নিয়েছেন নজর। এর পেছনে গেল কয়েক মাসে হাইপারফরম্যান্স ও ‘এ’ দলের হয়ে তাদের প্রচুর ম্যাচ খেলাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।

গেল রবিবারের ম্যাচটি ছিল আফিফের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ, বিপ্লবের দ্বিতীয় ও নাঈমের প্রথম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে আর কোনো সংস্করণে এখনও খেলা হয়নি তাদের। অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকলেও তারা তিনজনই সেদিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন দলের ৭ উইকেটের স্মরণীয় জয়ে। মূলত ব্যাটিং অলরাউন্ডার হলেও আফিফ অফ স্পিনে ৩ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ১ উইকেট। লেগ স্পিনার বিপ্লব সমান ওভারে ২ উইকেট শিকার করেছিলেন ২২ রানে। আর অভিষিক্ত বাঁহাতি ওপেনার নাঈম ২৬ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে জয়ের ভিত পাইয়ে দিতে সাহায্য করেছিলেন।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দ্রুততম সময়ে মানিয়ে নেওয়ার যে আভাস বাংলাদেশের নবীন ক্রিকেটারদের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এবং বোর্ডের অংশ হিসেবে নিজেদের অবদান দেখতে পাচ্ছেন মিনহাজুল। তিনি জানিয়েছেন, গেল কয়েক মাসে হাইপারফরম্যান্স দল, ‘এ’ দলের জন্য দেশে ও বিদেশে অনেক বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ তৈরি করেছিলেন তারা। এই দলগুলোর হয়ে নিয়মিত খেলেছেন আফিফ, বিপ্লব, নাঈমরা। সেই অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে সর্বোচ্চ পর্যায়ের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেছেন তারা, হয়েছেন পরিণত, এমনটাই দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচক।

বুধবার (৬ নভেম্বর) তিনি বলেছেন, ‘তো আমাদের যেটা চেষ্টা ছিল, গত তিন মাসে আমাদের এইচপি (হাইপারফরম্যান্স দল) এবং ‘এ’ দল প্রচুর ম্যাচ খেলেছে, জাতীয় দলের মতো। আন্তর্জাতিক ম্যাচ কীভাবে খেলতে হবে, ওরা কিন্ত সেখান থেকে এই অভিজ্ঞতা নিয়ে নেবে। এই কারণে বিপ্লব, নাঈম- ওদের দেখে মনে হয়নি যে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে ওরা দূরে আছে। গত তিন মাসের নার্সিংটা (পরিচর্যা) যথেষ্ট কাজে দিয়েছে।’

Comments

The Daily Star  | English
Dhaka University suspends exams

DU bans all forms of politics on campus

Dhaka University Syndicate tonight decided to ban all forms of partisan politics by teachers, students and staff on the university campus until further notice

36m ago