ধোনির অভাব ভালোভাবেই টের পাচ্ছে ভারত
‘আমাদের ভাবনার প্রক্রিয়াটা স্পষ্ট, বিশ্বকাপের পর থেকে আমরা শুধু রিশাভ পান্তের দিকেই মনোযোগ দিচ্ছি।’ - বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড ঘোষণার পর এমনটাই বলেছিলেন প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদ। আর তার মানেটাও স্পষ্ট। ভারত দলে মহেন্দ্র সিং ধোনির অধ্যায় প্রায় শেষ। কিন্তু আসলেই কি শেষ? দুই ম্যাচ না যেতেই তার অভাবটা প্রকটভাবে পেতে শুরু করেছে টি-টোয়েন্টির প্রথম বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে রাজকোটে বৃহস্পতিবার অবিশ্বাস্য এক ভুল করেছেন উইকেটরক্ষক পান্ত। বাংলাদেশের উড়ন্ত সূচনার পর দলের সেরা স্পিনার যুজবেন্দ্র চেহেলকে আনেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দুই বল না যেতেই লিটন কুমার দাসকে ফেলেন স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে। অনেকটা বেরিয়ে তেড়েফুঁড়ে খেলতে চেয়েছিলেন লিটন। কিন্তু বলের নাগাল পাননি। অনায়াসেই স্টাম্পিং করতে পারতেন পান্ত। কিন্তু নিজের আবেগকে সামলাতে পারলেন না। বল ক্রিজ পার করার আগেই ধরে ফেলেন। তাতেই জীবন পেয়ে যান লিটন।
অথচ ড্রেসিং রুমের দিকে হাঁটা ধরেছিলেন এ ওপেনার। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল ধরার সময় পান্তের গ্লাভসের সামান্য অংশ ছিল স্টাম্পের সামনে! শুধু তাই নয়, সৌম্য সরকার করা আউটেও প্রায় একই অবস্থা ছিল। মিলিমিটারের কম দূরত্বে এবার ভুল করেননি পান্ত।
তবে পান্তের এসব ভুলেই যে ধোনির অভাব টের পাচ্ছে তা নয়। ক্রিকেটে এমন ভুল হতেই পারে। প্রথম ম্যাচে এই চেহেলের বলেই টানা দুইবার এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। বোলারের জোরালো আবেদনে আম্পায়ার আঙুল তোলেননি। বুঝতে পারেননি পান্তও। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে ঠিকই দেখা গিয়েছে দুইবারই পরিষ্কার আউট ছিলেন মুশফিক।
পান্তের ভুল এখানেই শেষ নয়। এরপর চেহেলের স্টাম্পের বাইরে রাখা বল খেলতে গিয়ে মিস করেন মুশফিক। কট বিহাইন্ডের আবেদন করেন পান্ত। এতোটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে আম্পায়ার সাড়া না দিলেও রিপ্লে নিয়ে বসেন। এবং একমাত্র রিভিউটি খুইয়ে বসেন।
উইকেটের পেছনে থেকে ধোনির ডিআরএস নেওয়ার অবিশ্বাস্য অনেক সিদ্ধান্ত রয়েছে। ডিআরএস নেওয়ার ক্ষেত্রে তার সিদ্ধান্তই ছিল শেষ কথা। গত এশিয়া কাপেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চেহেলের বলে ইমাম-উল-হকের প্যাডে লাগার পর আম্পায়ার আউট না দিলে সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন। তার সিদ্ধান্ত পরে মেনে নেন অধিনায়ক রোহিতও। পরে দেখা যায় ঠিকই আউট ছিলেন ইমাম।
এমন উদাহরণ ধোনির ক্রিকেটীয় জীবনে ভুরিভুরি। আর শুধু উইকেটের পেছনেই নয়, নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থেকেই দারুণ সব রিভিউ নিয়েছেন তিনি। সবমিলিয়ে তাই ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে ধোনি জন্য হাহাকার শুরু হয়ে গেছে এর মধ্যেই। আর সামাজিক মাধ্যমেও সমর্থকরাও হাহাকার করছেন ক্যাপ্টেন কুলের জন্য।
Comments