ক্ষমতায় গেলে নূর হোসেন ও মিলন হত্যার বিচার করা হবে: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, নূর হোসেন এবং ডাক্তার মিলনকে কারা হত্যা করেছে, কেনো হত্যা করেছে এবং কীভাবে হত্যা করেছে তা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। তিনি নূর হোসেন এবং ডাক্তার মিলন হত্যার প্রকৃত খুনিদের বিচার দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, “নূর হোসেন ও ডাক্তার মিলন হত্যার ইস্যু তুলে দেশের মানুষকে বারবার বিভ্রান্ত করা হয়। আমাদের নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে অপবাদ দেওয়া হয়। এর একটা সমাধান জরুরি হয়ে পড়েছে।”
তিনি বলেন, “জাতীয় পার্টি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে নূর হোসেন ও ডাক্তার মিলনসহ ষড়যন্ত্রমূলক সব হত্যার বিচার করা হবে।”
আজ (১০ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পার্টি মহানগর উত্তর-এর আয়োজনে ‘গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, “এরশাদ ১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর সামরিক শাসন তুলে দিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারপর থেকেই কাঠামোগত গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। তবে, গণতান্ত্রিক চর্চা ব্যাহত হয়েছে বারবার।”
তিনি বলেন, “এখন প্রতিদিনই দুর্নীতি, গুম, খুন ও সন্ত্রাস অব্যাহতভাবেই বেড়ে চলেছে।”
তিনি আরও বলেন, “গণতন্ত্রের অর্থ হচ্ছে দুষ্টের দমন আর শিষ্টের লালন। কিন্তু এখন উল্টে গেছে সবকিছু, এখন চলছে দুষ্টের লালন আর শিষ্টের দমন। গণতন্ত্রের সঠিক চর্চা থাকলে দেশে ৫ কোটির বেশি বেকার থাকতে পারে না।”
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা ন্যায়বিচার ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা চালু করবো।”
এসময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, “দেশের গণতন্ত্র এখন নির্বাসনে। যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নুসরাতকে হত্যা করা হয়, বিশ্বজিৎ হত্যা হয়, একজন অধ্যক্ষকে ছাত্ররা পানিতে ফেলে দেয়, আমরা সেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চাই না। ১৯৮৬ সালের ১০ নভেম্বর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, এখন আর সেই গণতন্ত্র নেই।”
তিনি বলেন, “১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টির সমর্থনে ২১ বছর পরে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ করে। কিন্তু এখন আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন লেভেলের কর্মীরাও স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দকে হুমকি-ধমকি দেয়।”
তিনি বলেন, “এখন সোনার ছেলেদের ক্যাসিনো ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির ইতিহাস বের হচ্ছে। কিন্তু এতোদিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সোনার ছেলেদের দেখেনি, তাদের দৃষ্টি ছিলো শুধু রাজনৈতিক নেতাদের দিকে।”
রাঙ্গা আরও বলেন, “এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মাদকাসক্ত নূর হোসেনকে পেছন থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমপি-মন্ত্রীদের বাড়িতে ডাকাত ও খুনিদের আশ্রয়স্থল হয়েছিলো বলেই রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার দেশকে বাঁচাতে এরশাদকে দায়িত্ব অর্পণ করেন।”
তিনি বলেন, “হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন গণতন্ত্রেরও ধারক ও বাহক।”
Comments