মাহমুদউল্লাহর তৃপ্তি, মাহমুদউল্লাহর অতৃপ্তি
প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার সুবিধাটা আদায় করে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচে তো হেরেছে জয়ের খুব ভালো সুযোগ তৈরি করেও। তাতে ভারতের সঙ্গে লড়াই করা গেলেও সিরিজ জেতার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়নি। এই চূড়ান্ত অতৃপ্তির মাঝেও বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে তৃপ্তি দিচ্ছে দলে নতুন আসা তরুণদের দুরন্ত পারফরম্যান্স।
রবিবার (১০ নভেম্বর) নাগপুরে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। ভারতের ছুঁড়ে দেওয়া ১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৩৪ রানের মধ্যে শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে মাহমুদউল্লাহরা গুটিয়ে যান ১৪৪ রানে। ৩০ রানের জয়ে পিছিয়ে থেকেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের ঘরে রাখা নিশ্চিত করেছে ভারত।
অথচ ক্যারিয়ারের মাত্র তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে খেলতে নামা ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম জয়ের রাস্তা তৈরি করে দিয়েছিলেন একা হাতে। ১০ চার ও ২ ছয়ে গড়া তার ৪৮ বলে ৮১ রানের ইনিংসটি এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের পঞ্চম সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসও। কিন্তু এক মোহাম্মদ মিঠুন ছাড়া কেউই তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি, তার বিদায়ের পর হাল ধরতে পারেননি আর কেউ। তাতে ইতিহাস গড়া হয়নি বাংলাদেশের।
নাগপুরে নিজের প্রতিভার বিচ্ছুরণ দেখানোর আগের দুই ম্যাচেও যথাক্রমে ২৬ ও ৩৬ রানের দুটি ইনিংস এসেছিল ২০ বছর বয়সী নাঈমের ব্যাট থেকে। তারই সমবয়সী আরেক ক্রিকেটার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবও লেগ স্পিনে নজর কেড়েছেন এই সিরিজে। শেষ ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকলেও দিল্লিতে বাংলাদেশের জয়ে ২২ রানে ২ উইকেট নিয়ে দারুণ ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। আর রাজকোটে দলের অন্য বোলাররা যখন খাবি খাচ্ছিলেন, তখন বিপ্লব স্রোতের বিপরীতে হাত ঘুরিয়ে ৪ ওভারে ২৯ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন।
এই দুই তরুণের পাশাপাশি প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুশফিকুর রহিমের ম্যাচজয়ী ইনিংসও বাংলাদেশ দলনেতা মাহমুদউল্লাহর প্রশংসা কেড়ে নিয়েছে। পাশাপাশি ভারতের মাটিতে সিরিজ জয়ের সুবাস ছড়িয়েও ব্যর্থ হওয়াটা ভীষণ পোড়াচ্ছে তাকে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘তৃপ্তির জায়গা বলতে- আমার মনে হয় নাঈম ও বিপ্লবের পারফরম্যান্স। আমাদের বোলিং ইউনিটের পারফরম্যান্স খুব ভালো ছিল। মুশফিকের ম্যাচ উইনিং পারফরম্যান্স ছিল। এগুলো ছিল ইতিবাচক। আর অতৃপ্তি বলি- আমরা প্রথম ম্যাচ জিতেছি। অবশ্যই ভালো একটা মোমেন্টাম পেয়েছিলাম। যেটা আমরা সব সময় অনুভব করি- এটা বাংলাদেশ দলের শক্তি। তারপর ওখান থেকে যখন সিরিজটা হারি, সেদিক থেকে কিছুটা হলেও হতাশাজনক।’
Comments