‘ভাইয়ের কোলে ঘুমন্ত অবস্থায় মারা যায় ভাতিজা’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় উদয়ন এক্সপ্রেসের। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে হবিগঞ্জ সদরের বহুলা গ্রামের মজিবুর রহমানের ১২ বছরের ভাতিজা ইয়াসিনও রয়েছে।
আজ (১২ নভেম্বর) সকালে আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতার কাছে শোকে বিহ্বল মজিবুর রহমান জানান, বড় ভাই ও ভাতিজার সঙ্গে তিনিও উদয়ন এক্সপ্রেসে ছিলেন। তাদের ট্রেনটি স্টেশনে ঢোকার আগেই বিপরীত দিক থেকে তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেনটি এসে ধাক্কা দেয়। এতে উদয়ন এক্সপ্রেসের তিনটি বগি ছিটকে পড়ে।
মজিবুর বলেন, “আমরা এ সময় ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলাম। কিছুই বুঝে উঠতে পারিনি। ভাইয়ের কোলে ঘুমন্ত অবস্থায় মারা যায় ভাতিজা।”
মোরসালিন মিয়া নামের আরেক যাত্রী জানান, উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি মেইন লাইন থেকে লুপ লাইন ক্রস করছিলো। এ সময় দ্রুত গতিতে তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ধাক্কা দেয়। সামনের বগিতে থাকায় তাদের কোচের তেমন কেউ হতাহত হননি। তবে পেছন দিকের ঝ, ঞ-সহ আরেকটি বগির বেশ কয়েকজন নিহত ও গুরুতর আহত হন।
“এরপর আমরা সবাই ট্রেন থেকে নেমে আহতদের উদ্ধার করার চেষ্টা করি”, বলেন তিনি।
স্টেশন সংলগ্ন মন্দবাগ গ্রামের বাসিন্দা সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক মোস্তাক আহমেদ বলেন, “আমরা গভীর রাতে হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পাই। ঘর থেকে বের হয়ে দেখি কান্নার শব্দ। এখানে সেখানে ছিটকে পড়ে আছে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষের মরদেহ। তখন এলাকার সবাই বেরিয়ে আহতদের উদ্ধার শুরু করি।”
Comments