লাল মাটির শক্ত উইকেটে সবার জন্যই সমান সুবিধা?

বাংলাদেশ অনুশীলন করতে নামবে। তার আগে ড্রেসিংরুমের ব্যালকনিতে বসা প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুকে উইকেট নিয়ে জিজ্ঞেস করতেই বললেন, ‘খুব হার্ড উইকেট হবে।’ ইন্দোরের হোল্কার স্টেডিয়ামে এর আগে টেস্ট হয়েছে কেবল একটাই। এখানকার উইকেট নিয়ে কৌতূহল থাকাটা তাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশ সফরকারী দল হওয়ায় উইকেট নিয়ে উদ্বেগটাও তাই তাদেরই বেশি।

বাংলাদেশ ও ভারতের অনুশীলনের সময় মূল উইকেট কাভার দিয়ে ঢাকা ছিল। দুই দলের অনুশীলন শেষ করে চলে যাওয়ার পর ঘোমটা খোলে ইন্দোরের বাইশ গজের। প্রথম দেখাতেই চোখ কেড়ে নেয় উইকেটে থাকা ঘাস।

তবে কি ঘাসে ভরা উইকেটেই প্রথম টেস্ট। জানা গেছে, উইকেটে ঠিক এতটা ঘাস থাকবে না। ম্যাচের দিন বড়জোর ঘাসের ছোঁয়া আছে এমন উইকেট দেখা যেতে পারে।

মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান কিউরেটর সমান্দার সিং চৌহান। চার বছর থেকেই উইকেট বানিয়ে আসছেন তিনি। ২০১৬ সালে এখানে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছিল ভারত। ওই একটাই টেস্ট হয়েছে এই মাঠে। সে টেস্টে আবার ১৩ উইকেট নিয়ে ঝাণ্ডা উড়িয়েছেন অফ স্পিনার রবীচন্দ্র অশ্বীন।

তবে এখানে ঘরোয়া খেলা নিয়মিত হয়। হয়েছে রঞ্জী ট্রফির ফাইনালও। যাতে লাল মাটির উইকেট থেকে বাড়তি বাউন্স পেয়েছেন পেসাররা।

কিউরেটর চৌহান অবশ্য আভাস দিয়েছেন কেবল পেসাররা নয়, হোল্কারের উইকেটে সুবিধা আছে সবার,  ‘লাল মাটির উইকেটে ভালো বাউন্স পাওয়া যায়। এটা পেসারদের সাহায্য করবে কিছুটা আবার ব্যাটসম্যানরা কাজে লাগাতে পারলে এখানে স্ট্রোক খেলাও যাবে। একইসঙ্গে খেলা যত এগুবে উইকেটে থেকে টার্ন আদায় করতে পারবেন স্পিনাররও। এটা খুব ভালো স্পোর্টিং উইকেট হতে যাচ্ছে। সেখানে সবার জন্যই কিছু না কিছু থাকবে।’

চৌহান জানিয়েছেন স্বাগতিক দল থেকে উইকেটে বিশেষ কোন চাহিদা দেওয়া হয়নি। কিন্তু উইকেট যে স্পিনারদের স্বর্গ হচ্ছে না তা স্পষ্ট। টেস্টে বাংলাদেশের একমাত্র সামর্থ্যের জায়গা যদি কিছু থেকে থাকে তাহলে তা স্পিন। স্বাগতিক দল কখনই সফরকারীদের শক্তিতে সুবিধা করে দেয় না। তাছাড়া ভারতের ভাণ্ডারে ফর্মের তুঙ্গে থাকা পেস আক্রমণও সুবিধা করে দিয়েছে শক্ত, বাড়তি বাউন্সের উইকেট বানানোর।

Comments

The Daily Star  | English
Kamal Hossain calls for protecting nation

Kamal Hossain urges vigilance against obstacles to nation-building effort

"The main goal of the freedom — gained through the great Liberation War — was to establish democracy, justice, human rights and build a society free from exploitation. But we have failed to achieve that in the last 54 years," says Dr Kamal

1h ago